আজ সোমবার শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ব্যার্থতা যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের স্পর্শে স্পর্শে লেগেই আছে ।সেটার ই প্রমাণ স্বরুপ শুরুতেই ব্যাটিং ব্যর্থতার আভাস দেয় স্বাগতিকরা।
ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে দুই সেশনও টেকেনি বাংলাদেশ। ৪১.১ ওভার ব্যাট করে ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে স্বাগতিকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের তোপে ৩০ রানের বেশি করতে পারেনি কোনো ব্যাটার।
এই স্বল্প রানের মধ্যে এক শতক রান পূরণে সর্বাধিক সাহায্য করেছে তাইজুল ও নাইম। দুজনের ২৬ রানের জুটি বাংলাদেশ ইনিংসেই সর্বোচ্চ।ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। ৪ বল খেলে ০ রানে সাজঘরে ফেরত গেছেন এই ব্যাটার।
প্রোটিয়া পেসার উইয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন বাঁহাতি সাদমান। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।এক ওভার বিরতি দিয়ে আউট যান মুমিনুল হকও। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন বাহাতি ব্যাটার।ষষ্ঠ ওভারে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত (৭ বলে ৭)।প্রথম ৩টি উইকেটই নেন মুলদার। ২১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
আরও পড়ুনঃ মাধবদীতে মাদক ব্যবসায় বাঁধা, শ্রমিকলীগ নেতার ওপর হামলার অভিযোগ
৪০ রানে ছিল না ৪ উইকেট। চরম ব্যাটিং বিপর্যযে পড়া বাংলাদেশকে সামান্য স্বস্তিও এনে দিতে পারলেন না লিটন দাস। দলীয় ৫ রান যোগ না হতেই আউট যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পিচে থিতু হয়ে থেকেও ভালো ইনিংস খেলতে পারেননি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বল খেলে মাত্র ৩০ রান করতে পারেন তিনি। প্রোটিয়া স্পিনার ডেন পিডটের বলে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটার।
অভিষেক ম্যাচ রাঙাতে পারেননি জাকের আলী অনিক। ১৫ বলে মাত্র ২ রান করে মহারাজের বলে স্টাম্পড হন ডানহাতি ব্যাটার। স্কোরকার্ড ৭৬ রানের স্থির থাকতেই ২টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ।বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দুই অঙ্কের স্কোর ছুঁয়েছেন মাত্র চার জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলার তাইজুল ইসলামের (১৬)। এরপর আছে মেহেদী মিরাজ (১৩)।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট মুল্ডার, রাবাদা এবং মহারাজের। অন্য উইকেট পিটের দখলে।