গতকাল রোববার (২০ অক্টোবর) নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এদিন গোল থেকে দলকে বাঁচিয়ে হাসপাতালে শামসুন্নাহার জুনিয়র।
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের শুরুটা আশানুরূপ না হলেও গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারতে হারতে বেঁচে গেছে পিটার জেমস বাটলারের দল। যোগ করা সময়ে গোল করে দলকে হার থেকে বাঁচান শামসুন্নাহার জুনিয়র। দলকে বাঁচানোর নায়ককে অবশ্য ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে সোজা যেতে হয়েছে হাসপাতালে।
এই ম্যাচেই পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়া খানের সঙ্গে সংঘর্ষে কপালে চোট পান শামসুন্নাহার। যে কারণে ম্যাচ শেষে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়। তবে আশার খবর হচ্ছে, শামসুন্নাহারের কপালের চোট খুব একটা গুরুতর নয়। কপালের কেটে যাওয়া স্থানের ক্ষত গভীর নয়। ফলে কোনো সেলাই লাগেনি। তবে শামসুন্নাহারের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া পাকিস্তানের অধিনায়ক মারিয়া খানের কপালে তিনটি সেলাই লেগেছে।
শামসুন্নাহারকে চিকিৎসকরা একটা ইনজেকশন দিয়েছেন, তবে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেননি। মাথায় অবশ্য ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে। আগামীকাল সেই ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ দলের সূত্র অনুযায়ী, আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শামসুন্নাহারকে ফিট পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। একাধিকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কেমন কাটলো মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন?
দ্বিতীয়ার্ধে দলে একাধিক পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের পরিবর্তে কৃষ্ণা রাণীকে মাঠে নামান। তহুরা ফরোয়ার্ড লাইনে ছিলেন নিষ্প্রভ। কয়েকটি পরিবর্তন করেও তেমন ফল আসছিল না।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। চতুর্থ রেফারি ৬ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। প্রথম মিনিটেই বাম প্রান্ত থেকে ক্রসে জটলার মধ্যে হেডে গোল করেন শামসুন্নাহার। এই গোলে যেন বাংলাদেশ হাফ ছেড়ে বাঁচে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করায় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠার আশা ভালোভাবে টিকে থাকল বাংলাদেশের। এ কারণেই শামসুন্নাহারের গোলটার মূল্য অনেক বেশি।
৩২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে গোল পেয়ে যায় পাকিস্তান, যারা ২০২২ সালে গত সাফে এই কাঠমান্ডুতেই ৬-০ গোলে হেরছিল বাংলাদেশের কাছে। পাকিস্তান এ ম্যাচেও কোণঠাসা অবস্থায় ছিল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল।