spot_img

― Advertisement ―

spot_img

এবার হিন্দুত্ববাদীদের দাবি আজমির শরিফ শিবমন্দিরের সাথে তৈরি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের রাজস্থানের বিখ্যাত সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ, যা আজমির শরিফ নামে পরিচিত, নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন...
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকএবার হিন্দুত্ববাদীদের দাবি আজমির শরিফ শিবমন্দিরের সাথে তৈরি

এবার হিন্দুত্ববাদীদের দাবি আজমির শরিফ শিবমন্দিরের সাথে তৈরি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের রাজস্থানের বিখ্যাত সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহ, যা আজমির শরিফ নামে পরিচিত, নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা দাবি করেছে, এটি আসলে একটি শিবমন্দিরের স্থানে নির্মিত। এই দাবিতে তারা আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে।

সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করা এই পিটিশনের ভিত্তিতে, আজমির আদালত বুধবার দরগাহ কমিটি, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়ে এ বিষয়ে তাদের মতামত চেয়েছে। আদালত ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে।

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হরবিলাস সারদার ১৯১০ সালে প্রকাশিত বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, দরগাহ স্থলে একসময় একটি শিবমন্দির ছিল। এটি সংকট মোচন মহাদেব মন্দির নামে পরিচিত ছিল এবং সেখানে নিয়মিত পূজা হত।

হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, অযোধ্যা, কাশী, মথুরার মতো আজমিরেও মুসলিম শাসনের সময় মন্দির ধ্বংস করে মাজার নির্মাণ করা হয়েছে। তাই দরগাহটি হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

আজমির দরগাহ কমিটি এবং আঞ্জুমান সৈয়দ জাদগান এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছে। সেক্রেটারি সৈয়দ সারওয়ার চিশতি বলেছেন, আজমির শরিফ বহুত্ববাদ এবং সম্প্রীতির প্রতীক। এই ধরনের অভিযোগ ও পিটিশন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র।

আরও পড়ুনঃ বর্তমানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বেশিঃ ভিওএ’র জরিপ

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানে এই ধরনের দাবি উঠছে। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে মামলা চলছে। উত্তরপ্রদেশের সামভালে একটি মসজিদের নিচে মন্দির থাকার দাবিতে জরিপ চলাকালে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের দাবি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলোর পরিচিতিকে বিকৃত করার প্রচেষ্টা হতে পারে। ভারতের আদালতগুলো এই বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছে।

এই বিতর্ককে ঘিরে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।