
মাহিম সিদ্দিকি, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের চর চৌগাছি গ্রামে হতদরিদ্র এক দম্পতির ঘরে জোড়া লাগানো একটি পুত্র শিশুর জন্ম হয়েছে। শিশুটির অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন স্থানীয়দের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শিশুটির রয়েছে দুটি মাথা, চারটি চোখ, দুটি নাক, চারটি হাত, তিনটি পা, এবং একটি পায়ে আটটি আঙুল। এছাড়া, একটি পেট ও একটি পুরুষাঙ্গ রয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে এ শিশুটির জন্ম হয়। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আশপাশের শত শত মানুষ শিশুটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছে।
শিশুটির মা বর্তমানে দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন, আর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা, রাজমিস্ত্রির সহকারী হানিফ শেখ জানান, তিনি এতটাই অসহায় যে, মেয়ে সন্তানদের মধ্যে একজনকে তার খালার কাছে মানুষ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, “মা ও শিশুর চিকিৎসার খরচ বহন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই। যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়ান, তবে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।”
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, তদন্তে পুলিশ
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল হাই জানান, শিশুটি সম্পূর্ণ অস্বাভাবিকভাবে জন্ম নিয়েছে এবং তার মলদ্বার পাওয়া যায়নি। এ ধরনের শিশুদের জন্য উন্নত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য শিশুটিকে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা হতদরিদ্র এই পরিবারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সাহায্যের আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা মনে করেন, সামর্থ্যবানদের এগিয়ে এসে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো উচিত।
এই ব্যতিক্রমী ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও শিশুটির চিকিৎসা এবং পরিবারটির অসহায়ত্ব নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।