spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেতৃত্বে ন্যাশনস লিগ শিরোপা পর্তুগালের হাতে

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবময় অধ্যায়। ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ উয়েফা ন্যাশনস লিগে স্পেনকে রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসরাবির আইসিটি পরিচালকে পদত্যাগ না করার আহ্বান উপাচার্যের

রাবির আইসিটি পরিচালকে পদত্যাগ না করার আহ্বান উপাচার্যের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম পোষ্য কোটার বিরোধিতায় আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও উপাচার্য সালেহ হাসান নকিব তাকে পদত্যাগ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, “বিবেকের তাড়নায় আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে অফিসিয়ালি পদত্যাগপত্র জমা দেব।”

তিনি আরও লেখেন, “বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পোষ্যকোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে বহিরাগতদের নেতৃত্বে ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এটি প্রশাসন এবং আমাদের জন্য চরম অপমান। এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছি না।”

উপাচার্য সালেহ হাসান নকিব বলেন, “অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম অত্যন্ত যোগ্য এবং তার নৈতিক অবস্থানকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে বসিয়েছি এবং চাই তিনি তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।”

পদত্যাগের বিষয়ে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “পদত্যাগ করার পর উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে শিক্ষকদের উপর যে ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটি সমাধান না হলে আমি এই প্রশাসনে থাকতে চাই না।”

আরও পড়ুনঃ পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চাচা-ভাতিজির মর্মান্তিক মৃত্যু

তিনি আরও জানান, আইসিটি সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভর্তি পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম এখান থেকে পরিচালিত হয়। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি তার সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার গত (২ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এতে দুই উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন। উপাচার্যের হস্তক্ষেপে আন্দোলন শেষ হয় এবং পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এবং এর প্রভাব নিয়ে রাবি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।