spot_img

― Advertisement ―

spot_img

পাঁচবিবিতে ঈদে অনন্য দৃষ্টান্ত: ২ হাজার পরিবারে মাংস বিতরণ ছাত্রনেতা শামীমের

আল আমিন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার ত্যাগ ও মানবিকতার চেতনা বাস্তবে রূপ দিতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ স্থাপন করেছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীম...
প্রচ্ছদসারা বাংলাবেলকুচিতে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে আহত, থানায় মামলা

বেলকুচিতে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে আহত, থানায় মামলা

আশিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন ঐ গ্রামের ছাকাত মোল্লা, তার স্ত্রী খোদেজা খাতুন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে আব্দুল বারেক সরকারের বড় ছেলে রমজান আলীর সঙ্গে ছাকাত মোল্লার মেয়ে মোছাঃ শাহিদা খাতুনের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, শাহিদা খাতুন মাঝে মাঝেই স্বামী রমজান আলীকে তার বাবা ও ভাইদের নিয়ে মারধর করতেন।

গত ২২ মার্চ সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে স্ত্রী শাহিদা খাতুন ও তার মা খোদেজা খাতুন মিলে রমজান আলীকে মারধর করে তার ডান হাত ভেঙে দেয় এবং তার কাছ থেকে দুই লাখ বাইশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরদিন টাকা ফেরত চাইলে ছাকাত মোল্লা গং ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান আলীর বাবা আব্দুল বারেক সরকারের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে রমজান আলী ঘটনাস্থলে গেলে ছাকাত মোল্লার ছেলে ফরিদুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় রমজানের ছোট ভাই কুদ্দুস ও তার জমজ দুই ভাই হাসান ও হোসেন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বেলকুচি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবারও হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাকাত মোল্লার পরিবারের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ বিপ্লবী যুব উন্নয়ন সংঘ (BJUS) এর উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

এ ঘটনায় রমজান আলীর বাবা আব্দুল বারেক সরকার বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, “২৩ মার্চ সন্ধ্যায় ফোনে খবর পাই যে, বড়ইতলা গ্রামে এক পক্ষকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলামের দাবি, “আমরা তাদের মারপিট করেছি ঠিক আছে, তবে তারাও আমাদের মারধর করেছে। হাসপাতালে গিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”