spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসগ্রীষ্মে ছায়া হারিয়ে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, জিয়া হলে ডালপালা ছাঁটাইয়ে ক্ষোভ

গ্রীষ্মে ছায়া হারিয়ে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, জিয়া হলে ডালপালা ছাঁটাইয়ে ক্ষোভ

মো: আলিফ হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ প্রচণ্ড গরমে যখন একটু ছায়াই হয়ে উঠতে পারত স্বস্তির আশ্রয়, তখন সেই ছায়ার উৎসই যেন কেটে ফেলা হয়েছে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পুরনো আবাসিক জিয়া হলের সামনে ও পেছনের ছায়াদানকারী গাছগুলোর ঘন ডালপালা চলতি বছরের মার্চের শুরুতেই কেটে ফেলা হয়। ফলে গ্রীষ্মের তীব্র রোদে রীতিমতো দগ্ধ হচ্ছেন হলের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা।

জিয়া হলের ছাদের ওপর প্রচণ্ড রোদ সরাসরি পড়ায়, দিনভর হলঘরগুলোয় তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগে এই গাছগুলোর ছায়ায় অন্তত দুপুরের রোদটা খানিকটা সহনীয় ছিল। এখন পুরো ভবন যেন আগুনে ঝলসানো এক অবস্থা।

আবাসিক শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম সোহাগ বলেন,
“গাছগুলোর ছায়ায় অন্তত দুপুরের গরমটা কিছুটা সহনীয় থাকত। এখন সব কিছুই খোলা রোদে, রুমে ঢুকলেই মনে হয় আগুনের ভেতরে আছি। পড়ালেখায় মন বসানো তো দূরের কথা।”

একই অভিমত ব্যক্ত করেন আরেক শিক্ষার্থী ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলেন,
“এই হলেই কেবল কিছু ছায়াদানকারী গাছ ছিল। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথাও তেমন সবুজ নেই। অথচ প্রতিবছরই গ্রীষ্মে গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়। এটা কি কোনো পরিকল্পনার অংশ? শীতকালেও তো এই কাজ করা যেত।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো বাগান বিভাগ, নেই গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এমনকি পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার মতো কোনো স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিও কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। ফলে গ্রীষ্মে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বারবারই বাড়ছে।

আরও পড়ুনঃ সাভারে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে নিয়ম ভাঙায় ৭ পরিদর্শক বহিষ্কার, অব্যাহতি কেন্দ্র সচিবকে

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, এ বিষয়ে কোনো পূর্বঘোষণা দেওয়া হয়নি। এমনকি মৌখিকভাবে আপত্তি জানালেও তা উপেক্ষা করা হয়। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত নির্দেশনা বা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি।

পরিকল্পনাহীনভাবে গাছের ডালপালা ছাঁটাই করায় শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রতি বছরই কেন গ্রীষ্মে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? ছায়া যখন সবচেয়ে প্রয়োজন, তখনই কেন তা কেটে ফেলা হয়?”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটি শুধুই অবিবেচনাপ্রসূত নয়, বরং পরিবেশের প্রতিও চরম অবজ্ঞা। তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে অন্তত এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নেবে কর্তৃপক্ষ।