spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিলেন পোস্টকারীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে তরমুজ উৎসব ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন

ইবিতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে তরমুজ উৎসব ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নির্মাণ শ্রমিকদের সম্মানে তরমুজ উৎসব ও স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, তানভীর মণ্ডল, ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, মুবাশ্বির আমিন, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, ইসমাইল রাহাত ও আব্দুল্লাহ নোমানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশতাধিক নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজনে শ্রমিকদের উদ্দেশে আলোচনা সভা, হাঁড়ি ভাঙা খেলা, মৌসুমি ফল তরমুজ বিতরণ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। আলোচনা পর্বে বক্তারা শ্রমিকদের অবদানকে স্মরণ করে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “শ্রমিক-কৃষক দেশের মূল স্টেকহোল্ডার হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনে ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য হলেও সেটি উপেক্ষিত। আমাদের সমাজে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা ঘুচাতে হবে। সবাই মানুষ, এই বোধ নিয়ে চলতে হবে।”

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, যেন প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ইবিতে নবীজীকে কটুক্তির অভিযোগে সেই কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শ্রমিকের ঘামেই আমাদের দেশের উন্নয়ন। তাদের অধিকার রক্ষায় এখনো অনেক দূর যেতে হবে। বৈষম্য দূর করতে হবে সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে। শ্রমিকদের মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে, শ্রেণিভেদ নয়।”

আয়োজকদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “এই উৎসব শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি এক মানবিক দায়িত্ববোধের প্রকাশ।” তিনি শ্রমিক অধিকার বিষয়ে সজাগ থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।