spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জাকসু নির্বাচন বর্জন, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। পাশাপাশি পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে...
প্রচ্ছদসারা বাংলাসাব্বির হত্যা মামলায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

সাব্বির হত্যা মামলায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও

পাভেল ইসলাম মিমুল স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীর ছোট বনগ্রামে তরুণ সাব্বির হত্যাকাণ্ডে নিরপরাধ তিন যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও প্রকৃত হুকুমদাতা গোলাপ হোসেনকে এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে এসেছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার (৫ মে) বিকেলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক মানুষ চন্দ্রিমা থানার কোটাপুকুর মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। পরে তারা সরাসরি চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সাব্বির হত্যায় মূল হুকুমদাতা গোলাপ হোসেন, তার সহযোগী মিজানুর ও আব্দুল্লাহর সঙ্গে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এলাকাবাসী ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় অন্তর, বাদশা ও শান্ত নামের তিন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে ও ঘুষের মাধ্যমে গোলাপ হোসেন নিজের নাম বাদ দিয়ে পুলিশকে দিয়ে নিরীহ এই তিনজনকে মামলায় জড়িয়েছেন।

বিক্ষোভে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা বলেন অভিযুক্তদের পরিবার। বাদশার পিতা মো. বাচ্চু শেখ, শান্তর পিতা মো. শাজাহান শেখ ও অন্তরের পিতা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “আমাদের ছেলে নির্দোষ। অথচ আজ খুনের আসামি বানিয়ে সমাজে মুখ দেখানো যাচ্ছে না।”

নারী অংশগ্রহণকারীরাও প্রতিবাদে শামিল হন। মোসা. সুরিনা বেগম বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। আমাদের ছেলেরা কষ্ট করে বাঁচে। তাদের এমন অন্যায়ের শিকার হতে হচ্ছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

বিক্ষোভে আরও উঠে আসে, মামলার প্রধান সাক্ষী মো. নজরুল আসলে গোলাপ হোসেনের আত্মীয়, যিনি ঘটনাস্থলের রক্ত মুছে দিয়ে প্রমাণ লোপাট করেন। অথচ তাকেই ‘বিশ্বাসযোগ্য’ সাক্ষী বানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এজাহারের ১ নম্বর আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তিন যুবকের নাম না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন এলাকাবাসী।

চূড়ান্তভাবে থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়— প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার, বাদ দেওয়া ব্যক্তিদের পুনঃঅন্তর্ভুক্তি, নিরীহদের নাম প্রত্যাহার এবং মামলার পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন, অভিযোগ পুনঃতদন্ত করা হবে এবং নিরপরাধ কাউকে ফাঁসানো হবে না।

আরও পড়ুনঃ সখীপুরে ৬০লাখ টাকার শিক্ষা অনুদান দিয়েছে লাবীব গ্রুপ ও মধুমতী ব্যাংক

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানান—এই আন্দোলন চলবে, যতদিন না প্রকৃত খুনি আইনের আওতায় আসে। তাঁদের দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেন।

বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান শেখ, বাচ্চু শেখ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল হামিদ, আব্দুল রহিম, সুরিনা বেগম, সাজেমা, ববি খাতুন, কাজল, পাপ্পু, ডিলুপ, মমিন, সুমন, জনিসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের কণ্ঠে ছিল একটাই স্লোগান— “আমরা বিচার চাই, প্রতিশোধ নয়। নিরীহদের মুক্তি চাই, খুনিদের শাস্তি চাই।”