spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাশিবগঞ্জের ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান ২ দিনের রিমান্ডে

শিবগঞ্জের ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ মামলায় সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান ২ দিনের রিমান্ডে

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আলোচিত ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামানকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন চৌধুরীর আদালতে তাকে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান। শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকালেই নোয়াখালী কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামে ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ নামক অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি নাটক সাজিয়ে স্থানীয় মুদি দোকানি আবুল কালাম আবুকে হত্যা করে। এ ঘটনায় দীর্ঘ সাত বছর পর, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

বাদীর অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এডিসি থাকা অবস্থায় আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও সংস্থার সদস্যরা যৌথভাবে পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আবুকে হত্যা করে। পরে হেলিকপ্টারে করে তিনটি বস্তাবন্দী লাশ আনা হয়, যা ওই বাড়িতে রেখে পরবর্তীতে বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ সখীপুরে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ দুই শিক্ষার্থীর

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ জানান, অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা আবুকে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে বস্তাবন্দী লাশ এনে পেটের মধ্যে বিস্ফোরক বেঁধে তা রিমোট কন্ট্রোলে বিস্ফোরণ ঘটায়, যাতে জঙ্গি হামলার নাটক বাস্তবায়ন করা যায়।

অভিযানের দিন ২ হাজার ১২৬ রাউন্ড গুলি, ১৭টি গ্রেনেডসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। বাড়ির চারপাশে সাঁজোয়া যান, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো গ্রাম। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। আবুর ঘরের দরজা-জানালায় নির্বিচারে গুলি ছোড়া হয়, অথচ তখন তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন।

উল্লেখ্য, অভিযানের সময় আসাদুজ্জামান কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এডিসি পদে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নোয়াখালীতে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং সরকারের ৫ আগস্টের পতনের পরও সেখানে দায়িত্ব পালন করেন।

এই মামলার রেশ ধরে তদন্ত আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।