spot_img

― Advertisement ―

spot_img

বিদ্যাময়ী স্কুলে অভিভাবক ছাউনিতে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে অভিভাবকদের জন্য নির্ধারিত ছাউনিতে এক অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধের মরদেহ...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসসদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীকে কুবি ছাত্রদল নেতার মারধরের অভিযোগ

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীকে কুবি ছাত্রদল নেতার মারধরের অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কার্য সহকারী মো. আজাদকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রেজিস্ট্রার অফিস চত্বরে। জানা যায়, যোগদানের দিনই মারধরের শিকার হন ভুক্তভোগী আজাদ। বিষয়টি শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে মুঠোফোনে স্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নিজেই।

মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, “নিয়োগে স্বজনপ্রীতি হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে আমি আজাদকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলি। সে বারবার সময় দিলেও শেষে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে রেজিস্ট্রার অফিসে দেখা হলে রাগের মাথায় একটি থাপ্পড় দেই। পরে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি।”

জানা গেছে, মেহেদী হাসান সোহাগ ছাত্রদলের ২০২১ সালের কমিটির ৭ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকরিরত।

ভুক্তভোগী কর্মচারী আজাদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে বলেন, “আমি এখানে অনেকদিন চাকরি করতে চাই ভাই, তাই কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারব না।”

ঘটনার সময় কুবি ছাত্রদলের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তিনি বলেন, “এটিএম বুথের পাশে একজন কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখে থামাতে গিয়েছিলাম। কারো নাম জানতাম না।”

আরও পড়ুনঃ ইবি সিআরসি’র আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দিনব্যাপী ফল উৎসব

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ঘটনার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা তদন্ত করছি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “রবিবার আমরা একটি মিটিংয়ে বসছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, সবকিছু বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মধ্যেই এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। প্রশাসন যথাযথ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে—এমন প্রত্যাশা সকলের।