spot_img

― Advertisement ―

spot_img

দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা এলাকায় মিজান-রায়হান আতঙ্কে

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদেরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত...
প্রচ্ছদসারা বাংলাচট্টগ্রামে শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তার রোষানলে হিলভিউ আবাসিক'র ২’শ ভূমির মালিক

চট্টগ্রামে শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তার রোষানলে হিলভিউ আবাসিক’র ২’শ ভূমির মালিক

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হিলভিউ আবাসিক এলাকার প্রায় ২০০ জন ভূমির মালিক নতুন করে নামজারি ও খাজনা পরিশোধের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান না হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামজারি কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছেন। এছাড়াও, তিনি একতরফাভাবে দুটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে এই নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন হিলভিউ আবাসিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, বাদশা আলম, এরশাদ খতিবি, কায়ছার রিজভী, আলী রেজা সহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতারা জানান, সিডিএ অনুমোদিত হিলভিউ আবাসিক এলাকা প্রায় ৪৫ বছর ধরে গড়ে উঠেছে এবং বর্তমানে সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করছেন। ৫৮ একরের এই এলাকায় ১৯৯৫ সালে বরাদ্দ পাওয়া প্লট মালিকেরা ১৪৯টি খতিয়ানের ভিত্তিতে নিয়মিত ভূমি কর পরিশোধ করে আসছেন।

তবে পাঁচলাইশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি আন্তঃবিভাগীয় চিঠির সূত্র ধরে নামজারি ও খাজনা আদায় স্থগিত করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর ১২৩ জন মালিক নতুন করে নামজারির আবেদন করলে, দুটি পূর্ববর্তী মামলার অজুহাতে তা আবার খারিজ করা হয়।

পুনরায় উচ্চ আদালতে গেলে ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আপিল বিভাগ স্থানীয় মালিকদের পক্ষে চূড়ান্ত রায় দেন। এতে প্রায় ২০০ জন ভূমির মালিকের নামজারি ও খাজনা পরিশোধের আইনগত পথ সুগম হয়। কিন্তু বর্তমানে ওই একই প্রক্রিয়ায় নতুন করে আবেদন করা বাকি ২০০ জন মালিকের কার্যক্রম আবারও স্থগিত করেছেন বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন।

আরও পড়ুনঃ বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লিফলেট বিতরণ

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হিলভিউ এলাকার ভূমির ইতিহাস বহু পুরোনো। আরএস খতিয়ানে এটি অবলা সুন্দরী দেবীর নামে, পিএস খতিয়ানে মোছাম্মৎ আনজুমান্নেসা এবং বিএস খতিয়ানে ‘হিলভিউ হাউজিং কোম্পানি’ নামে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর আইনগত প্রক্রিয়ায় মালিকেরা দখল ও মালিকানা নিশ্চিত করেন।

সমিতির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালেও মোয়াজ্জম হোসাইন পাঁচলাইশ ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালনকালে একইভাবে হয়রানি চালিয়েছিলেন। তারা মনে করেন, এই কর্মকাণ্ড উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ।

এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “হাইকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন আচরণ শুধু আইনের অবমাননা নয়, বরং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। আমরা চাই দ্রুত এই অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অবিলম্বে নামজারি ও খাজনা পরিশোধ কার্যক্রম চালু হোক।”