spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কেন্দ্রীয় নেতা বকুলকে ‘ধানের শীষ’ ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি স্থানীয় নেতাদের

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদী–৫ (রায়পুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও...
প্রচ্ছদসারা বাংলাশিবপুরের চেয়ারম্যান হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

শিবপুরের চেয়ারম্যান হারুন খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই থেকে গ্রেপ্তার

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মহসিন মিয়াকে দুবাই থেকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ। ইন্টারপোলের সহযোগিতায় এই গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) এস এম মোস্তাইন হোসেন জানান, গত ২০ জুলাই মহসিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২১ জুলাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে। মহসিন মিয়া শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মৃত আয়েছ আলীর ছেলে।

পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালের ২৩ জুন থেকে শুরু হওয়া তদন্তের অংশ হিসেবে আসামি মহসিন মিয়ার বিদেশে পালিয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়। এর ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।

মহসিন মিয়া আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে জানায় পিবিআই। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তার রোষানলে হিলভিউ আবাসিক’র ২’শ ভূমির মালিক

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শিবপুর উপজেলার চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। ঘটনার দিন রাতেই মহসিন মিয়াসহ আরও দুইজন ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে টানা ৯৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

হামলার ঘটনার পরপরই হারুনুর রশিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে উঠে আসে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে এবং এর পেছনে ছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।