
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন ফুল ফান্ডিং পিএইচডি স্কলারশিপ অর্জন করায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করেছে শাহ আজিজুর রহমান হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টায় হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটি এম মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম, ছাত্র আন্দোলন, তালাবায়ে আরাবিয়া, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।
স্কলারশিপ অর্জনে সংবর্ধনা গ্রহণকালে নিজের বক্তব্যে মারুফ হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং মূলত প্রকাশিত গবেষণালব্ধ ফলাফল, সাইটেশন, ইনডেক্সিংয়ের ওপর ভিত্তি করেই হয়। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম এখনো অনেকাংশে কুক্ষিগত। সেন্ট্রাল গবেষণাগার অবশ্যই রুলস-রেগুলেশন মেনে চলবে, তবে এখানে যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে রিসার্চ করার নিয়ম করা হয়েছে, সেটি একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। আমরা কোনো ফান্ডিং বা রিসার্চ ডোনেশনও পাই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এই খরচ সম্পূর্ণ বহন করে, তাহলে অনেক বেশি শিক্ষার্থী গবেষণার সুযোগ পাবে। গবেষণার দরজা যেন সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়—এই দাবি রাখছি।”
আরও পড়ুনঃ ইবিতে জাস্টিস ফর সাজিদ’র অংশ হিসেবে অ্যালবাম প্রদর্শনী
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এটিএম মিজানুর রহমান বক্তব্যে বলেন, “আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন করব, আর সেই পরিবর্তনের ঢেউ তোমরাই আনবে। তোমাদের উপস্থিতিই এই পরিবর্তনের জন্য বড় ধাক্কা। আমি চাই এই ধাক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কোণায় পৌঁছাক। আমরা যেন গর্ব করে বলতে পারি—আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তোমরা শুধু রাস্তায় থেকো, সচেতন থেকো। তোমাদের প্রতিটি উপস্থিতি একটি বড় বার্তা। এই ঢেউ কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়ে, তা হয়তো আমরা এখন জানি না, তবে আমি আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই সংবর্ধনার মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা মেসেজ দিতে চাই: কী ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই। আমরা চাই একটি গবেষণাবান্ধব, মুক্তচিন্তার, দায়িত্বশীল ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তোমাদের জন্য ভালোবাসা ও দোয়া রইল।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংস্কৃতি বিকাশে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।