
মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামে এক মর্মান্তিক হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে বসতঘরসহ গোয়ালঘর পুড়িয়ে দিয়ে মাওলানা বাহাউদ্দিন ও তার পরিবারকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ভাগ্যক্রমে তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ জুলাই গভীর রাতে। স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য মতে, ফুলদী সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার মাওলানা বাহাউদ্দিন রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার সময় তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য বাহাউদ্দিন ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে ওঠেন। এ সময় তার স্ত্রী পোড়া গন্ধ টের পান এবং ছোট ছেলে ইউসুফকে ডেকে তোলেন।
ইউসুফ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বারান্দায় দড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করে। বাহাউদ্দিন দ্রুত বাথরুম থেকে বের হয়ে বড় ছেলেকে ডাক দেন এবং মোটর চালিয়ে পাইপ দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে থাকেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ইউসুফ গোয়ালঘরে আগুন দেখতে পান এবং সেখানেও চিৎকার শুরু করেন। এরপর দেখা যায় মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে গোয়ালঘরের খড়ের পাড়া পুড়ে যায়, তবে পরিবারের সদস্যরা অলৌকিকভাবে রক্ষা পান।
আরও পড়ুনঃ দুদকের অভিযানে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাঞ্চল্যকর অনিয়মের সন্ধান
মাওলানা বাহাউদ্দিন বলেন, “দুর্বৃত্তরা আমাদের ঘুমের মধ্যে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি।” তিনি ঘটনার পর পরই কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কালীগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অপূর্ব জানান, “আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেছি। অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।