spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আবিদের উক্তি নিয়ে ব্যঙ্গ, ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিলেন পোস্টকারীরা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসসাজিদ হত্যায় উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির

সাজিদ হত্যায় উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ভিসেরা রিপোর্টে উল্লেখ করার পর, এ ঘটনায় উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। রোববার (৩ আগস্ট) রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান কমিটির সদস্যরা।

ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “আমাদের দায়িত্ব ছিলো সাজিদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা। সেই অনুযায়ী আমরা নিরলসভাবে কাজ করেছি। প্রায় শতাধিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার, ময়নাতদন্ত, সুরতহাল, ভিসেরা রিপোর্ট, মোবাইল কললিস্ট, মোবাইল লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। এরপর চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “সাজিদের মৃত্যু একটি মারাত্মক অপরাধজনিত ঘটনা বলে আমরা মনে করি এবং এ বিষয়ে সরকারের উচ্চতর তদন্ত সংস্থা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানোর সুপারিশ করেছি।”

একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

আরও পড়ুনঃ শ্বাসরোধে ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: নিশ্চিত করল ভিসেরা রিপোর্ট

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সাজিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে দেওয়া ১৫ দফা বাস্তবায়নে প্রশাসন যদি সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারে, তবে আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক অবরোধ এবং ক্যাম্পাস শাটডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকায় মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে ভিসেরা নমুনা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ৩ আগস্ট প্রকাশিত ভিসেরা রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়, সাজিদের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে এবং তার শরীরে কোনো বিষাক্ত উপাদান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।