spot_img

― Advertisement ―

spot_img

চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব ও ল্যাবএইড হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ প্রবাসী বীর রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সংগঠন চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব লিমিটেড ও দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল চট্টগ্রামের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা...
প্রচ্ছদসারা বাংলারাঙ্গুনিয়ায় ইসমাইল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সফি অস্ত্রসহ গ্রেফতার

রাঙ্গুনিয়ায় ইসমাইল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সফি অস্ত্রসহ গ্রেফতার

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুখ্যাত ইসমাইল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সফিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার(২১ আগস্ট) দিবাগত রাতে সরফভাটা ইউনিয়নের পাইটটালিকুল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী ইসমাইল দীর্ঘদিন ধরে রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও খুনের মতো ভয়াবহ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। ২০০২ সালে সে প্রকাশ্যে গুলি করে বিএনপি কর্মী ভোলাসহ দুইজনকে হত্যা করে। পরে ২০০৪ সালে র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় ইসমাইল ও তার সহযোগী সফি। তবে ২০০৬ সালে তারা প্রবাসে পালিয়ে যায়।

৫ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে এসে পুনরায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে তারা। রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ইসমাইল বিশাল অস্ত্রধারী বাহিনী গড়ে তোলে। এই বাহিনীর মাধ্যমে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না দিলে কেউ এলাকায় বসবাস বা নতুন ঘর নির্মাণ করতে পারত না। এতে অনেক প্রবাসী ও সাধারণ মানুষ ভয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাব ও সিএমপি হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

শুধু তাই নয়, ৫ই আগস্টের পর থেকে রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নে ইসমাইল বাহিনী ছয়জন নিরীহ মানুষকে খুন করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা জানান, প্রতিকার না পাওয়ায় এখন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে।

অভিযানে সফির গ্রেফতারকে স্থানীয়রা স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখছেন। তবে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, মূল হোতা ইসমাইলসহ পুরো বাহিনীকে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত এলাকায় শান্তি ফিরবে না।