
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লালন শাহ হল সংলগ্ন এলাকায় গাছ কাটার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন ছয় শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা এগারোটায় ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি শুরু করে তিনটায় শেষ করেন তারা।
এসময় তারা সেখানে বিভিন্ন প্রতিবাদী ফেস্টুন ও ব্যঙ্গচিত্র হিসেবে ‘কেজি কত? গাছ কসাই’, ‘গাছ আমার সম্পদ, পরিবেশ আমার অধিকার,’ ‘শ্বাস নিতে ভুলেন আপনারা, চল গাছ খাই! গাছ মানুষ বাঁচায়, ‘মানুষ গাছ মারে,’ ‘পৃথিবী মারতে, চলেন গাছ কাটি’ সহ বিভিন্ন লেখা প্রদর্শন করেন।
কর্মসূচিতে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাঈমুল ফারাবি, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের জারিন তাসনিম পুষ্প, চারুকলা বিভাগের সজল রায়, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শেখ রুম্মন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইজাজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থানকারী শিক্ষার্থী ইশতিয়াক ফেরদৌস ইমন বলেন, লালন শাহ হল এলাকায় আসবাবপত্র বানানোন জন্য দুটি বড় বড় গাছ কাটা হয়েছে। প্রত্যেক প্রশাসন বারবার গাছের দিকেই আক্রমণ করছে। গাছ কাটা বা কাঠ ছাড়াও আসবাবপত্র বানানোর অসংখ্য বিকল্প পন্থা আছে। প্রভোস্ট বলেছিল, গাছ ভবনের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল এবং ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আমরা গিয়ে দেখেছি গাছ যথেষ্ট দূরে ছিল। শুধু এ কারণে একটি জীবন্ত গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা ছিল বলে আমি মনে করি না।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী কলেজে খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের আলোচনা সভা
তাদের দাবি, গাছ কাটার বিপরীতে গাছ লাগাতে হবে এবং এমন কোনো উপায় বের করা যাতে গাছ কাটার আগে কারণগুলো আমাদের জানাতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের সমঝোতা করতে সহজ হবে।
গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী আরিফুজ্জামান খান বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে গাছগুলোর মাথা ছিল না। হলে দেওয়ালে ঝুঁকে পড়েছিল তাই অনেক আগেই মাথাগুলো কেটে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া গাছগুলো ড্রেনের সাথেও কনজাস্টেড ছিল। তাই প্রশাসনের অনুমোদন নিয়েই গাছগুলো কাটা হয়েছে।