spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কি?

বর্তমান বিশ্বের শিল্প, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো খাতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তারা মূলত বাস্তবমুখী শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা এবং হাতে-কলমে কাজের...
প্রচ্ছদসারা বাংলাবালিয়াকান্দিতে ভারতীয় নাগরিককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অপচেষ্টা

বালিয়াকান্দিতে ভারতীয় নাগরিককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অপচেষ্টা

মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা, স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ভারতীয় নাগরিক হয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জমির দাবির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পূর্বমৌকুড়ী গ্রামের মৃত যদুনাথ সূত্রধরের ছেলে বাবলু সূত্রধর গত ১৪ আগস্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাই সুকুমার ওরফে কাদন প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ভারতের নাগরিক হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম, আধার কার্ড (নং- ৯১০৯২৭৭৫৫৭৩৫) ও অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র ধারণ করছেন। তার পরিবারের সদস্যরাও ভারতে অবস্থান করছেন।

সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর সহযোগিতায় বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরপর অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ভারতের সকল সরকারি কাগজপত্রে তার নাম “সুকুমার শর্মা” ও পিতার নাম “যদুনাথ শর্মা” উল্লেখ থাকলেও বাবলু সূত্রধরের পরিবারের প্রকৃত পদবী “সূত্রধর” এবং তাদের পিতার পদবীও “সরকার”। এ কারণে তার পরিচয় নিয়েও ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার প্রচেষ্টায় রামগঞ্জে স্থাপিত হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম

অভিযোগে আরও বলা হয়, সুকুমার বাংলাদেশে এসে বাবলু সূত্রধরের নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিলে বাবার নামীয় বসতবাড়ির ৩ শতাংশ জমি ভাগ দিতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পার্শ্ববর্তী পূর্বমৌকুড়ী গ্রামের মিন্টু সরকারের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

বাবলু সূত্রধর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সুকুমার বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের সহায়তায় যে কোনো সময় তাকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি জানান, বসতবাড়ির বাইরে তার অন্য কোনো জমি-জমা নেই। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি বসতবাড়ির সামনে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান পরিচালনা করেন।

তিনি অভিযোগের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।