spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাজিদের খুনিদের বের করতে না পারা ইন্টেরিমের ব্যর্থতা: ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসচবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ, বিচার দাবি

চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ, বিচার দাবি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিচার, করতে হবে-করতে হবে’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই মার খায়, প্রশাসন ঘুমায়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী ও ইয়াশিরুল কবির সৌরভ সহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, চবির ঘটনায় প্রথম প্রায়োরিটি হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। কিন্তু আমরা দেখেছি প্রশাসন তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকের দিনের মধ্যে আমরা আমাদের ভাই বোনদের ওপর আক্রমণ করা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘চবিতে এলাকাবাসীর নামে আওয়ামী, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। জুলাই যোদ্ধাদের আহত, মারা হবে তা ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের জন্য একটা ট্রেন্ডে পরিনত হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রশাসনকে বিভিন্নভাবে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টার ফলেই এই ন্যাক্কাররজনক হামলা হয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ বেরোবির ডাইনিংয়ের খাবারে বড় আকৃতির পোকা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

তিনি আরও বলেন,’অন্তর্বর্তী সরকার রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন বন্ধ না করলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিতে পারলে অন্তর্বর্তী সরকারকে তার চেয়ার ছেড়ে দেয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে দেরিতে বাসায় ফেরাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে মারধর করে বাসার দারোয়ান। একে কেন্দ্র করে রাতেই দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এর জেরে রোববার সকালে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৭০জন শিক্ষার্থী আহত হন।