
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যবর্ধন ও আলোকসজ্জার জন্য স্থাপন করা ৯৫টি গার্ডেন বোলার্ড লাইট ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে অন্তত ৪২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্মচারীদের। তবে কে বা কারা এবং কবে, কিভাবে এগুলো ভেঙ্গেছে এই নিয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্পষ্ট মুখ খুলছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও। তিনি কিছু জানেন না উল্লেখ করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফেজ (Faze) কর্তৃপক্ষ জানায়, গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর ও প্রশাসন ভবন চত্বরের বাগানে ১৩৫টি লাইট স্থাপন করা হয়। কাজটি করতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি লাইটের দাম ধরা হয়েছিল ৪৫০ টাকা। তবে পরবর্তীতে এসে তারা দেখতে পান, অনেক লাইট ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ভাঙচুর হওয়া ৯৫টি লাইটের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪২ হাজার টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে লাইটের কাজ করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রতিবেদক। প্রথমে তারা জানান, গাড়িতে নিয়ে যাওয়া-আসার কারণে কিছু লাইট ভেঙে গেছে। তবে অধিকাংশ লাইট ভাঙ্গাই পেয়েছি। যেহেতু কাজটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি, তাই এর মেরামতের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানকে নিতে হচ্ছে। তবে এগুলো এমনি এমনি ভাঙ্গা না। কেউ আঘাত করে ভেঙ্গেছে বলে মনে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, এগুলো কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। এ ধরণের কাজ স্পষ্ট দুর্বৃত্তায়ন। প্রশাসনককে এই ঘটনায় জড়িতদের স্পষ্ট করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ফি নিয়ে রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
ফেজ প্রতিষ্ঠানের মালিক হাসিবুর রহমান বলেন, কাজটি এখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ভাঙচুরের বিষয়টি আমাকেই রিকভার করতে হচ্ছে। এতে আমার ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। তবুও আমি প্রতিষ্ঠানের রেপুটেশনের কথা চিন্তা করে কাজটি করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, কে বা কারা লাইট ভাঙছে তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে লাইটগুলো সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামত করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম. শরীফ উদ্দিন বলেন, যদি লাইটগুলো আগে থেকেই ভাঙা থাকে তাহলে সেটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখবে। আর কেউ ভেঙে ফেললে তা আলাদা বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।