spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসচরম শিক্ষক সংকটে ইবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, নিয়োগের সুপারিশ

চরম শিক্ষক সংকটে ইবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, নিয়োগের সুপারিশ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ তীব্র শিক্ষক সংকটে ভুগছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। প্রয়োজনের তুলনায় কম শিক্ষক ও অন্য বিভাগ থেকে ধার করা শিক্ষক দিয়েই চলছে এ অনুষদের ৭টি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম। এতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে অনুষদভুক্ত বিভাগের সভাপতি এবং অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি বলেন, আমাদের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগ একাডেমিক সমস্যা ও সংকটের কথা বলতে গিয়ে সদস্যরা মূল সমস্যা হিসেবে শিক্ষক সংকটকে জোরেশোরে আইডেন্টিফাই করেছেন, সমস্ত সমস্যার শিকড় হচ্ছে এটা। এসকল সমস্যা উত্তরণের জন্য আমরা শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে লিখিতভাবে উপাচার্যকে অবহিত করবো, যাতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তিনি এই সংকট নিরসনে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৭ টা বিভাগের অবস্থা তো ভয়াবহ।তিনজন শিক্ষক দিয়ে একটা বিভাগ কিভাবে চলে? যেখানে ৪৪/৪৫ টা কোর্স পড়াতে হয়, এত কম শিক্ষক নিয়ে এটা সম্ভব না। এটা যা হচ্ছে পুরোটাই একটা গোঁজামিল পড়াশোনা। একজন শিক্ষক একসাথে ২/৩ কোর্সের বেশি পড়াতে পারে না। সেখানে কেউ ৭/৮ টা পর্যন্ত কোর্স নেয়। এটা কি পড়ালেখা? সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগ গুলোকে গতিশীল করার জন্য শিক্ষক নিয়োগের কোনো বিকল্প নাই।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেছে, এখানে কেন হচ্ছে না?
আমাদের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকটা বিভাগের সার্কুলার হলো ৬ মাস হয়ে গেছে। এখানে না হওয়ার পিছনে কি সমস্যা আমি এটাই বুঝিনা! যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

আরও পড়ুনঃ আলোচিত সীমান্ত হত্যার শিকার সেই ফেলানীর ছোটভাই পেলেন বিজিবির চাকরি

জানা যায়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ৭ টি বিভাগে তীব্র শিক্ষক সংকট রয়েছে। এসব বিভাগে অল্পসংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক ও অন্য বিভাগ থেকে ধার করা শিক্ষক দিয়ে চলছে সকল একাডেমিক কার্যক্রম। বিভাগ থেকে বারবার চাহিদা দেওয়া হলেও প্রশাসনের স্বদিচ্ছার অভাব এবং অব্যবস্থাপনায় নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভাগীয় সভাপতিদের। এ পরিস্থিতিতে কিছু কিছু বিভাগে এক শিক্ষককে একাধিক কোর্সও পড়াতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না বলেও জানান তারা।

মিটিংয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলির সভাপতিত্বে লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্কর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ওবাইদুল হক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ্ আলী চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা এবং কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট নিরসনে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ২১টি বিভাগে মোট ৫৯টি পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অর্থছাড় না থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে বিশবিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষক সংকটের আশা জাগলেও তা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে সর্বশেষ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ছয়টি বিভাগে ছয়টি পদে শিক্ষক নিয়োগের অর্থছাড় দিয়েছে ইউজিসি।