
মোমিন আলি লস্কর, জয়নগর প্রতিনিধিঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে জনসংযোগ ও প্রশাসনিক কার্যকারিতা জোরদার করতে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া জনমুখী কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ এখন সরাসরি ময়দানে তদারকি করছেন বিধায়ক ও মন্ত্রীরা।
এই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এক নম্বর ব্লকের উত্তর দুর্গাপুর অঞ্চলের ফতেপুর এফ পি প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত ৯৬ ও ৯৭ নম্বর বুথের ক্যাম্প পরিদর্শন করেন জয়নগর কেন্দ্রের বিধানসভার বিধায়ক ও বিশিষ্ট শিক্ষক বিশ্বনাথ দাস।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা বন্দনা লস্কর, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও, উত্তর দুর্গাপুর অঞ্চলের প্রধান আম্বিয়া বিবি লস্কর, উপপ্রধানসহ পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা এবং এলাকার সব সদস্যরা।
পরিদর্শনকালে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস ক্যাম্পের প্রতিটি টেবিল ঘুরে দেখেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের জমা দেওয়া সমস্যা, অভিযোগ ও পরামর্শ মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
তিনি বলেন, “এখানে একাধিক সমস্যার কথা জমা পড়েছে। সেগুলির দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করবে।” সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “মানুষ প্রকল্পটিকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন, তা তাঁদের উপস্থিতিতেই স্পষ্ট।”
আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর পাশে জামায়াতে ইসলামী
এলাকার মানুষও শিবিরে বিধায়ক ও প্রশাসনের সরাসরি উপস্থিতিতে আশাবাদী। তাঁদের মতে, যখন নির্বাচিত প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা নিজেরাই গ্রামে এসে সমস্যার কথা শোনেন, তখন সমাধানের আশা জন্ম নেয়।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য তিনটি— প্রশাসনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি, তৃণমূল স্তরের প্রকৃত সমস্যার সঙ্গে মন্ত্রী-বিধায়কদের পরিচয় এবং নির্বাচনের আগে জনসংযোগকে আরও শক্তিশালী করা। এ বিষয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ইতিমধ্যেই সব জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নিয়মিত রিপোর্ট নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে মানুষের আস্থা আরও বাড়বে এবং স্থানীয় স্তরে দ্রুত সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। নবান্ন আশাবাদী, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সরাসরি উপস্থিতিতে এই শিবিরগুলো রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলিকে নতুন গতি দেবে এবং প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।