
হৃদয় হাসান চৌধুরী,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক টংক আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও মহিয়সী নারী নেতী কমরেড কুমুদিনী হাজং এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল ) কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর হলরুমে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীরের সভাপতিত্বে সহ-সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ।
আরো আলোচনা করেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: খালেক, সিপিবি কলমাকান্দা উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সিদ্দিকুর রহমান,নেত্রকোনা আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি নিরন্তর বনোয়ারী,উপজেলা আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি অবনী কান্ত হাজং,আদিবাসী নেত্রী পার্বতী রিছিল, রাশিমনি কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান মতিলাল হাজং, উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন, উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম,কমরেড মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, এ কে এম ইয়াহিয়া, জনপদ চৌধুরী ও কুমুদিনী হাজং এর ছোট মেয়ে অঞ্জলি হাজং, নুর আলম খান সহ প্রমুখ।
বক্তার আলোচনা করেন, কুমুদিনী হাজং এই দেশের কৃষক, মেহনতি মানুষ, জনতার স্বার্থের একটি সাম্যের সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন। সে লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলনের কর্মী ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন।
“আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের তিনি যে সংগ্রাম করেছেন সেই সংগ্রামের মৃত্যু নেই, মুক্ত মানুষের মুক্ত সমাজ একদিন প্রতিষ্ঠা হবেই।”
কমরেড কুমুদিনী হাজং, লড়াই-সংগ্রামের জীবন্ত কিংবদন্তি। সংগ্রাম করেছেন ব্রিটিশ শোষণের বিরুদ্ধে। এই কুমুদিনী হাজংকে ঘিরেই সেদিন ছড়িয়ে পড়েছিল টংক আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ। কমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বে জমিদারদের অন্যায্য খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে সেই সময় তিনি কৃষকদের বীরত্বপূর্ণ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।
দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৫০ সালে বাতিল হয় টংক প্রথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে বিদায় নিয়েছেন সেই অগ্নি-যুগের বিপ্লবী সন্তানেরা। তাদের মধ্যে কেবল কুমুদিনী হাজং বেঁচে ছিলেন কালের সাক্ষী হয়ে। গত ২৩ মার্চ এই মহীয়সী নারী নেত্রী আমাদের ছেড়ে চির বিদায় নেন।