spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাভারে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারে র‌্যাব-৪ এর অভিযানে ধরা পড়েছে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও একাধিক মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন...
প্রচ্ছদফিচারশ্রমজীবীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের দিন পহেলা মে, মহান মে দিবস

শ্রমজীবীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের দিন পহেলা মে, মহান মে দিবস

আজ ১ মে, মহান মে দিবস। শোষণ, নির্যাতন আর বঞ্চনার শৃঙ্খল ভেঙে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে।

১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর পর থেকে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে মে দিবস। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।

তবে বাংলাদেশ শ্রমজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এখনো পিছিয়ে নানা সীমাবদ্ধতায়। জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ বা ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক ষাণ্মাসিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে। এই অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সেই সঙ্গে তাদের আনুমানিক হিসাব, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ; আগের অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও একই ছিল।
বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। মূলত ব্যক্তিমানুষের ভোগব্যয়ের কারণে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী থাকায় আমদানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে এবং সে কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্রমমূল্য কমবে। এর ফলে বাড়বে শ্রম ও শ্রমিক অসন্তোষ।
সাম্প্রতিক বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি ও গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। বেতন বকেয়া ও গণছাটাই বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় নামতেও দেখা যায় শ্রমিকদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে কখনো কখনো মারমুখী অবস্থান নিতেও দেখা গেছে।

বাংলাদেশকে শ্রম অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ এবং করপোরেট দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্বল্প বেতন, বিক্ষোভ দমন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হতাহতের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ শ্রমিক অধিকারের জন্য ব্যাপকভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে।

অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে শ্রমিকেরা তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং সম্মিলিতভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম মজুরি পান শ্রমিকেরা। তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত হওয়া ও মৃত্যুর ঘটনাও বেশি।

অন্যদিকে শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মার্চের অধিবেশনে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রশ্নের সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ। শ্রম অধিকার চর্চা, শ্রমিকদের ওপর হামলা–নির্যাতন বন্ধসহ শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি বলে এমন বক্তব্য উঠে আসে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলওর ৩৫০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার শুরুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইএলওর পথনকশা অনুযায়ী বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি উপস্থাপন করেন। তিনি শ্রম আইন সংশোধনে বাংলাদেশের জোরালো রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, পরিস্থিতির উন্নয়নে বাংলাদেশের উদ্যোগের যথাযথ স্বীকৃতি না দিলে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে আস্থার সংকট তৈরি হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন শ্রম আইনের সংশোধন করা গেল না, তা ব্যাখ্যা করেন আইনমন্ত্রী। সংসদের আগামী অধিবেশনে তিনি শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, শ্রমিকনেতা শহীদুল ইসলাম হত্যার অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতই সম্পন্ন হবে বিচারকাজ।

আনিসুল হক আরও বলেন, আইএলওর সঙ্গে সম্মত পথনকশা অনুযায়ী চারটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে নতুন সরকারের জোরালো রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে। পরিস্থিতির উন্নতির স্বার্থে বাংলাদেশকে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোর যথাযথ স্বীকৃতি না দেওয়া ও চাপের বিষয়গুলো অংশীদারত্বের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের পরিচালক জেফরি ভগ্ট বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নে যুক্ততার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাধীনতা নেই। দর–কষাকষিতে যুক্ততার হার খুবই কম। শ্রমিকেরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন। নারী কর্মীরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশের শ্রম আইনে যে সংস্কার হয়েছে, তা একেবারেই ন্যূনতম। তবে আইএলওর পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য জার্মানির রেনাটে ড্রাউস বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়নে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন। শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, দেশের যতটুকু অগ্রগতি তার অন্যতম যোদ্ধা হলো, দেশের কৃষক-ক্ষেতমজুর, গার্মেন্টসসহ শহর-গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ আর বিদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী মানুষ। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের এত বছর পেরিয়ে গেলেও শ্রমজীবী মানুষের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ সংগঠন করার গণতান্ত্রিক অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। আন্তর্জাতিকভাবেও দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষের সংকট মোচন হয়নি। তাই বাংলাদেশও এ থেকে বিচ্ছিন্ন না।
তারা আরও বলেন, দেশের ২২ লাখ সরকারি, শ্রমজীবী, কর্মচারী-কর্মকর্তার ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস বাস্তবায়িত হলেও বেসরকারি কাজে নিয়োজিত কয়েক কোটি শ্রমজীবী মানুষ এখনো এই সুযোগ পায় না। পরিবার-পরিজন নিয়ে চলার মতো বেতন না পাওয়া, ওভারটাইমসহ নানা কাজের ফাঁদে পড়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। শিশুশ্রম কমেনি বরং বেড়েছে যা আইএলও এর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

শ্রম আইনকে শ্রমিকবান্ধব করা হবে জানিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে।

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি শ্রমিকবান্ধব করা হবে। এতে আইএলও কিছু সংযোজন করেছে। তাদের অনুরোধেই আইনটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমাদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছুটির আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে পাওনা প্রণোদনা মালিকপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে যথাযথ সময়ে শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হয়েছে। সে কারণে এবার আনন্দঘন পরিবেশে শ্রমিকরা ঈদ উদযাপন করেছে।

শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা কতদিনে বাস্তবায়ন করা হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে। তারা যখন বিদেশি অর্ডার বাস্তবায়ন কিংবা রপ্তানি তাড়াতাড়ি করাতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করান। এ জন্য তাদের পাওনা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এটা পারস্পরিক বিষয়, সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয়। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে এগুলো হয়।

আরও পড়ুনঃ

ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে বিধান অনেক শিথিল করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন আমরা দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে তাদের বাধাগুলো শিথিল করে তারা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন পেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও শিশু শ্রমিক দেখা যায়। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে একজন কাজের ছেলে বা মেয়ে রেখেছেন। গরীব ঘরের সন্তানকে গ্যারেজে কাজ শেখানোর জন্য দিয়েছেন, পরে সে হয়ত পরিবারের হাল ধরবে। এ রকম অনেক বিষয় আছে। এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিলেও অনেক সময় বন্ধ করা সম্ভব হয় না। প্রাতিষ্ঠানিক কল-কারখানায় কোনো শিশু শ্রম নেই।
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মে দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণসাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা, সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে।

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ১ মে সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শো সম্প্রচার করবে।

মে দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ করবে শ্রমিক লীগ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে।