
ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী যাত্রীবাহী কোনো বাসকে আটকাবে না ট্রাফিক পুলিশ। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভাঙ্গলে কিংবা দুর্ঘটনা ঘটালে সে ক্ষেত্রে আটকানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর উদ্বোধনে যোগ দেন নগর পুলিশপ্রধান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীবাহী গাড়ি সাধারণত কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে এবং দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।
আরও পড়ুনঃ সাভারে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
হাবিবুর রহমান বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকায় বড় গাড়ি ৪০ এবং মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গড়ি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।
মহাখালীতে যানজট নিরসনে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে তিনি বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্কিং করবে না। কোনো যাত্রী তুলবে না এবং নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করছে। নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও আইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।