spot_img

― Advertisement ―

spot_img

শ্রমিকদের প্রতি উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান: অরবিন্দু বেপারী

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু শ্রমিকদের উদ্দেশে জানান, সরকার শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে...
প্রচ্ছদসারা বাংলাডিবি পুলিশের কার্যালয় মামুনুল হক

ডিবি পুলিশের কার্যালয় মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের মোবাইল নিতে সেখানে এসেছিলেন বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি। পরে প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থান করে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন।

এর আগে, ডিবি কার্যালয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের রুমে প্রবেশ করেন ও তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ আশুলিয়ায় সহকর্মীর মারধরে কাউন্টার কর্মীর মৃত্যু

ডিবি কার্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে মামুনুল হক বলেন, ‘আমি আসছিলাম মোবাইল নিতে।’ একথা বলেই গাড়িতে উঠে যান তিনি। এছাড়া আর কোনো কথা বলেননি।

তবে হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছে যে, তিনি কি গণমাধ্যমকে এখন ভয় পান নাকি এড়িয়ে গেলেন?

এর আগে, গত ৩ মে (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল এক নারীর সঙ্গে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

পরে ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে একটি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।