spot_img

― Advertisement ―

spot_img

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কুবিতে মশাল মিছিল

কুবি প্রতিনিধি: তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক সংগঠন ‘উত্তরবঙ্গ...
প্রচ্ছদসারা বাংলাসালথায় কলেজ অধ্যক্ষ কে হাতুড়ি পিটিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর

সালথায় কলেজ অধ্যক্ষ কে হাতুড়ি পিটিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর

মোঃ ইলিয়াছ খান, নিজস্ব প্রতিনিধি( ফরিদপুর)ঃ ফরিদপুরের সালথায় যদুনন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুরি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে অধ্যক্ষকে স্বাক্ষর করতে শিক্ষার্থীরা বাধ্য করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যদুনন্দী নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে।  

কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান কলেজের যোগদানের পর থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোষর হিসেবে দুর্নীতি-অনিয়ম করে আসছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থন না করে কলেজের ছাত্রদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছিল। স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে আমরা এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। মানববন্ধনও করেছি। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এতে আমরা খুশি।

ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমি আর আমার ছেলে কলেজে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম মোল্যা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য অছাত্র লালন, মনির এবং কয়েকজন ছাত্র জোর করে আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাদের হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে কিছু অছাত্র আর কিছু ছাত্রদের দিয়ে জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়।

তিনি বলেন, আন্দোলনরতরা বেশিরভাগই অছাত্র। মুলত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কামরুল গাজী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েকমাস আগে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল জমা দেন আমার কাছে। আমি ওই বিলে স্বাক্ষর না করায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর থেকে কামরুল গাজী ও কাইয়ুম মোল্যা আমার পিছে লাগে। শেষ পর্যন্ত আমাকে পিটিয়ে জোর করে পদত্যাগপত্র সই নিল। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কামরুল গাজী বলেন, আমি ফরিদপুর অফিসে আছি। আমি তো এসব বিষয় কিছুই জানি না। অধ্যক্ষ শুধু শুধু আমার নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কাইয়ুম মোলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ নরসিংদীতে সাংবাদিককে মিথ্যা মামলার ফাঁসানোর হুমকি

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী একটি মানববন্ধন করে। খবর পেয়ে আমিসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই। তখন শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তেমন সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনাটি আমরা মিমাংসা করে দেই। এ সময় শিক্ষার্থীরা আর আন্দোলন করবে না মর্মে লিখিত দেয়।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় অধ্যক্ষকে মারধর ও তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বর্তমান সরকারও এর বিরোধী। তবে জানতে পেরেছি স্থানীয় কামরুল গাজী ও কায়ুম মোল্যা নামে দুই ব্যক্তির ইন্ধনে শিক্ষার্থী ও কিছু দুস্কৃতকারীরা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।