
ঢাকার আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র সহকর্মীর মারধরে কাউন্টার কর্মীর মৃত্যু। এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তারা দুইজনে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করতেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮মে) বিকালে আশুলিয়ার হাবিব হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানি পরিবহন নামক বাস কাউন্টারে এঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম (২২), দিনাজপুর জেলা উলিপুর থানা এলাকার মো. মমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে বাইপাইল হানি এন্টারপ্রাইজ নামের পরিবহন কাউন্টারে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করতেন।
আরও পড়ুনঃ সাভার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
আটক মানিক (২০) নওগাঁ জেলা বদলগাছি থানা আক্কেলপুর গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়ার ছেলে। তারা দুজনে একই কাউন্টারে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে দুজনের মধ্যে বাসে যাত্রী উঠানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মানিক মঞ্জুরুলকে মারধর করে। এতে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় মঞ্জুরুল। পরে অভিযুক্ত মানিকসহ উপস্থিত অন্যরা তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক মৌসুমি বলেন, কারখানায় দুপুরের খাবার বিরতিতে স্বামীর কাছে টাকা নিতে এসে দেখি আহত অবস্থায় পড়ে আছে, সবাই তার মাথায় পানি দিচ্ছে। পরে আশেপাশের লোকজনসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় এক বাস কাউন্টারের কর্মচারি রফিক বলেন, ঘটনার সময় ওই কাউন্টারের সামনে অনেক লোকজন দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখি মঞ্জুরুলকে বেঞ্চের ওপর শুইয়ে রেখেছে। শুনলাম মানিক তাকে ঘুষি মেরেছে। পড়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মঞ্জুরুল মারা যায়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ, আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত মানিককে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।