spot_img

― Advertisement ―

spot_img

শ্রমিকদের প্রতি উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান: অরবিন্দু বেপারী

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু শ্রমিকদের উদ্দেশে জানান, সরকার শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে...
প্রচ্ছদসারা বাংলাঅপু হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাজা বাড়ল দুই জনের

অপু হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাজা বাড়ল দুই জনের

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর সূত্রাপুরের চাঞ্চল্যকর আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় দুই আসামি মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামি ইফতেখার বেগ ঝলককে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও খালাস পাওয়া অপর আসামি মোহাম্মদ আলী মুন্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। মুন্নাকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অন্যথায় পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ রায় দেন।

২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানার ৪/১ ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে সন্ত্রাসীরা অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিনের ছেলে নিহত অপুর ভাই আরিফুর রহমান খান সেতুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারতে মারতে স্থানীয় সিলভারডেল স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট নেই: নিজাম হাজারী

খবর পেয়ে সেতুর ভাই আশিকুর রহমান খান অপু ও আতিকুর রহমান খান বাপ্পী সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের এলাপাতাড়ি গুলি করে। তিন ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে গুলি করতে করতে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তিন ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও তারা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহতের বোন আতিয়া খান কেয়া বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সে মামলায় সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সে অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামিরা ১২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

আলোচিত এই মামলার বিচার শেষ ২০১২ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন দুই আসামির ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাহবুব আলম, মোহাম্মদ আলী মুন্না, ইফতেখার বেগ ঝলক ও বিপ্লব চন্দ্র দাস। ট্রাইব্যুনালের রায়ে আতিক আহমেদ শিপলুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৭ মে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে মুন্না ও ঝলককে খালাস দেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি দুই আসামি মাহবুব আলম ও বিপ্লব চন্দ্র দাস পলাতক থাকায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন।