spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলা৭ফুট গভীরে মানুষের হার-খুলি উদ্ধার আটক সিরিয়াল কিলার স্বপন

৭ফুট গভীরে মানুষের হার-খুলি উদ্ধার আটক সিরিয়াল কিলার স্বপন

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভার মডেল থানাধীন আনন্দপুর সিটি লেন এ অবস্থিত মাদক সম্রাট এবং অপকর্মের মূল হোতা সিরিয়াল কিলার স্বপন এর নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ফ্লোর এর অনুমান ০৭ফুট গভীরে মানুষের হার-খুলি উদ্ধার। 

গত ২রা জুন  সীমা নামক একজন এনজিও কর্মী অপহরণ হন সাভারের বিরুলিয়ার  খনিজ নগর থেকে। ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার  জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান, বিপিএম, পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জনাব মোবাশশিরা হাবীব খান, পিপিএম-সেবা মহোদয়ের নেতৃত্বে  ঢাকা জেলা ডিবি উত্তরের একটি চৌকস টিম কাজ শুরু করে।

পরবর্তীতে ৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ডিবি পুলিশ সীমা হত্যা মামলার একজন আসামি সাইফুল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সাইফুলের দেওয়া তথ্যমতে ডিবি পুলিশ গত বৃহস্পতিবার ৬ জুন সীমা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সাইফুলের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায় সীমা অপহরণ ও হত্যা মামলায় মূল হোতা ছিল স্বপন।

আরও পড়ুনঃ হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্বপনের নেতৃত্বে সাইফুল, রেজাউল, তাইরান, আসিফ সীমাকে অপহরণ করে বর্বর ভাবে পানিতে চুবিয়ে অজ্ঞান করে খনিজ নগরে স্বপনের বাড়ির পাশের দেয়াল ঘেঁষে পুতে ফেলে। পরবর্তীতে উক্ত মামলার সূত্র ধরে  ডিবির কাছে তদন্তাধীন আরও একটি অপহরণ মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি চৌকস টিম অপহৃত তোফাজ্জল হোসেন টুনুর লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করে এবং আরো একটি চৌকস টিম সীমা হত্যার মূল হোতা সিরিয়াল কিলার স্বপনকে গ্রেফতারের কার্যক্রম শুরু করে।

আজ সকালে ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ স্বপনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার দেখানো মতে তার বাড়ি ও মাদক স্পট থেকে তোফাজ্জল হোসেন তনুর  লাশের কয়েক টুকরা  হাড় এবং খুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সাভার মডেল থানাধীন আনন্দপুর সিটি লেন এ অবস্থিত মাদক সম্রাট এবং অপকর্মের মূল হোতা স্বপন এর নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ফ্লোর এর অনুমান ০৭ ফুট গভীর হতে মানুষের হাড় সাদৃশ্য হাড় উদ্ধার  করা হয়।

স্বপন কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তনুকে নৃশংসভাবে  কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মাটি চাপা দেয়  এই সিরিয়াল কিলার।  তনু অপহরণের সময় যে শার্টটি পরিহিত ছিলো সেটিও পাওয়া যায়।গ্রেপ্তারের সময় স্বপনের কাছ থেকে পিস্তল এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য হিরোইন উদ্ধার করা হয়।। স্বপনকে কুল্লা ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা জেলা ডিবি উত্তরের প্রতিটি সদস্যের অসীম আন্তরিকতা অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেড় বছর আগের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের লাশের কয়েক টুকরা হার ও খুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয় ।