spot_img

― Advertisement ―

spot_img

মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “মানসম্মত শিক্ষা ও নৈতিকতার অনুশীলন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার সকালে সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।...
প্রচ্ছদসারা বাংলাযুগান্তরের প্রতিনিধি আজাদ মিয়া'র বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির প্রতিবাদে ৬টি স্পটে বিক্ষোভ

যুগান্তরের প্রতিনিধি আজাদ মিয়া’র বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির প্রতিবাদে ৬টি স্পটে বিক্ষোভ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ তাহিরপুরে আজাদ কতৃক সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে চাদাঁবাজির প্রতিবাদে ৬টি স্পটে বিক্ষোভ। দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানি,ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে চাদাঁবাজি করে আসছে এমন অভিযোগে উপজেলার ৬টি স্পটে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

(১৫ জুলাই) সোমবার বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট বাজার,তাহিরপুর বাজার, আনোয়ারপুর বাজার,ইসলামপুর চক বাজার,কলাগাও, বড়ছড়া জয় বাংলা বাজারে পৃথক পৃথক ভাবে তাহিরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সমাবেশ বিক্ষুদ্ধ জনতা ঝাড়ু হাতে নিয়ে নানা কুকর্ম তুলে ধরে স্লোগানে স্লোগানে প্রতিটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বৈদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার আজাদ।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রতিবাদ সমাবেশে বাবলু দাস,আজহারুল ইসলাম,রিয়াদ হাসান,সাকিল মিয়া,জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা আসমত আলী, কামাল হোসেন কাদরী, উজ্জ্বল মিয়া ব্যবসায়ীক, সামসুল হক শ্রমিক, বড়ছড়া জয় বাংলা বাজার”এর ব্যবসায়ীক আলী হোসেনসহ অনেকে।

বক্তারা জানান,তাহিরপুর সীমান্তের ভারতীয় বুঙ্গার কয়লা,চিনি,মাদক,যাদুকাটা নদীর পাড়কাটা,গাঁজা ইয়াবার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের গডফাদার এই হাবিব সারোয়ার আজাদ। আজাদ সীমান্তের কালো ব্যাবসায়ীদের দ্বারা একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে সীমান্ত এলাকার কালো ব্যবসার বিভিন্ন পয়েন্টসহ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করে গত ১৫ বছর ধরে। যা আজ অবধি বহাল রয়েছে।

সাধারন মানুষ তার এসব কালোবাজারি ব্যবসা ও অপকর্ম জানা স্বত্তেও ভয়ে মুখ খুলতে চাইনা। তার ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার,ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী। এসব মাদক ব্যবসা ও ভারতীয় কয়লা ও চিনির চোরাচালান করে গত কয়েক বছরে আজাদ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। আজাদের আন্ডারগ্রাউন্ডের এসব অপকর্ম নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।

এছাড়াও হাবিব সারোয়ার আজাদ নিজেকে সাংবাদিক ও র‌্যাব,পুলিশ,বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে তার একান্ত সহযোগীদের নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচাঁর করাসহ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দফায় দফায় গণধৌলাইয়ের শিকার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালান ও শিশু বলৎকারসহ একাধিক মামলা হয়েছে।

শুধু তাই নয় “হাবিব সারোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার পুরানো ও মূর্তি ভাংচুর মামলাও রয়েছে। মাদ,গাজাঁ,ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ সীমান্তের চোরাচালানের গডফাদার হাবিব সারোয়ার আজাদের অত্যাচারে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে,তার এইসব অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি করছি।

আরও পড়ুনঃ উত্তাল জাবি, মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীরা

ব্যবসায়ী আব্দুল হক(৪৮)বলেন,হাবিব সারোয়ার আজাদ প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা করছে,তার কারণে এলাকার ছোট বড় সকলেই অতিষ্ট,আমরা তার দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

উল্লেখ,গতকাল ২০১৮সালে ইয়াবা বিক্রি শেষে চরগাঁও লতারকিত্তা নামকস্থানে যাওয়ার পর খবর পেয়ে এলাকাবাসী ৩৪৫পিছ ইয়াবাসহ হাবিব সারোয়ার আজাদকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় আজাদ মাতাল অবস্থায় এলাকার লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে তাকে গণধৌলাই দেয়।

খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই সাইদুর ও এএসআই পীযুষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াবাসহ মাতাল অবস্থা তাকে গ্রেফতার করে। একই সালে পার্শ্ববর্তী বিন্নাকুলি বাজারে ইয়াবা বিক্রি করার সময় হাবিব সারোয়ার আজাদের ভাতিজা জুবায়ের শাহকে ৫০০পিছ ইয়াবাসহ র‌্যাব গ্রেফতার জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।