
মাহমুদুল হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারকালে গত রোববার (১৮ আগস্ট) অস্ত্রসহ পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। প্রথম বারের মত আটক ভারতীয়দের ফেরত দেয়নি বিজিবি, এতে বিস্মিত হয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।এরপর বিজিবির সঙ্গে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও তাদের ফেরত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
ভারতীয় এ বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গত ১৭ আগস্ট রাতে বিএসএফের মালদা ১১৫ ব্যাটালিয়ন পাঁচ মাঝিকে ডাকে। ওই সময় গঙ্গা নদী দিয়ে গরু চোরাচালান করা হচ্ছিল। ওই গরুগুলো উদ্ধারের জন্য পাঁচ মাঝিকে দুটি নৌকায় করে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাঁচ ভারতীয়কে গত ১৭ আগস্ট আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এসব ভারতীয়কে ছাড়িয়ে নিতে গত রোববার ও সোমবার বিজিবির সঙ্গে একাধিক পতাকা বৈঠক করে ভারতের বিএসএফ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের ফেরত দেয়নি বিজিবি। এর বদলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব ভারতীয়কে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারতীয় নাগরিকদের ছাড়তে বিজিবি অস্বীকৃতি জানিয়েছে । তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এবারই প্রথমবারের মতো আটক ভারতীয় মাঝিদের ছাড়েনি বিজিবি।
ভারতীয় এ বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গত ১৭ আগস্ট রাতে বিএসএফের মালদা ১১৫ ব্যাটালিয়ন পাঁচ মাঝিকে ডাকে। ওই সময় গঙ্গা নদী দিয়ে গরু চোরাচালান করা হচ্ছিল। ওই গরুগুলো উদ্ধারের জন্য পাঁচ মাঝিকে দুটি নৌকায় করে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
ঐ সময় মাঝিরা গিয়ে দেখতে পান কয়েকটি গরুগুলোকে ভাসমান কলা গাছের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। গরুগুলো উদ্ধারের সময় একটি নৌকা নদীর ঘূর্ণিতে ধাক্কা খায় এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অপর আরেকটি নৌকা ইঞ্জিন বিকল হওয়া নৌকাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নদীর পানির বৃদ্ধি ও ঢেউ থাকায় তারা ভেসে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর তাদের আটক করে বিজিবি।
আটককৃত এসব মাঝিকে ছাড়িয়ে নিতে বিজিবির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির জোয়ানরা তাদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। বিএসএফ বিজিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করে আটককৃত মাঝিদের তারাই নিয়োগ করেছিল। কিন্তু বিজিবি তাদের ছাড়েনি। এর বদলে ওই ভারতীয়দের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।