spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাসংশোধন ও পরিমার্জন হচ্ছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম

সংশোধন ও পরিমার্জন হচ্ছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচিত-সমালোচিত নতুন শিক্ষা কারিকুলামে নানা পরিমার্জন আনছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন হবে। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যবইগুলো ২০২৪ সালের পুরোটা সময় বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ‘নতুন শিক্ষাক্রম, নতুন পুস্তক মুদ্রণ ও চলমান মূল্যায়ন পদ্ধতি’ সংক্রান্ত এক জরুরি নির্দেশনায় এ তথ্য জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি মাধ্যমিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা–বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২-এর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তথা অংশীজনদের অভিমত, গবেষণা ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার প্রকট অভাব ইত্যাদি বাস্তব সমস্যা বিদ্যমান থাকায় এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে ইতোমধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকগুলোর পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে। যতদূর সম্ভব মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২-এর মতো হবে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে আগামী বছর থেকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।

এ ছাড়াও চলতি বছরের সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ এসব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।

দশম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বছর ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম- ২০১২-এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো অর্থাৎ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত বই শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ ত্রাণ নিয়ে কুমিল্লায় রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা

এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত শাখা–বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আগের নিয়মে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যে সকল শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২-এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) প্রদান করা হবে। এ সকল শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণি মিলে দুই শিক্ষাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

২০২৬ সাল থেকে নতুন আরেকটি শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠদান করানো হবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, প্যাডাগগ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে। যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।