spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদরাজধানীদেড় ঘণ্টার পথ ২০ মিনিটে, ফাঁকা ঢাকায় বাধাহীন গন্তব্যে গাড়ি

দেড় ঘণ্টার পথ ২০ মিনিটে, ফাঁকা ঢাকায় বাধাহীন গন্তব্যে গাড়ি

মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। একসঙ্গে এতো মানুষের ঢাকা ছাড়ার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কগুলোতে। লাখো মানুষ শহর ছাড়ায় চাপ কমেছে রাজধানীতে। অন্যান্য সময় গাড়ির চাপে স্থবির সড়কগুলো হয়ে উঠেছে গতিময়। মানুষের কোলাহলও নেই তেমন। ফাঁকা ঢাকায় বাধাহীন ছুটে চলায় দেড় ঘণ্টার পথ নেমে এসেছে ২০ মিনিটে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, বাড্ডা, নতুনবাজার, কুড়িল, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এসব এলাকায় দেখা যায়, ঈদের ছুটির কারণে নগরীর প্রধান সড়কগুলো এখন অনেকটাই ফাঁকা। রাস্তায় গণপরিবহন থাকলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। পুরো সড়কজুড়ে ব্যক্তিগত কিছু যানবাহন ও রিকশা চলাচল করছে। মাঝেমধ্যে কিছু গণপরিবহন চললেও সেগুলোতে যাত্রী কম।

যানজট না থাকায় স্বাভাবিক সময়ে ঘণ্টাখানেকের পথ পাড়ি দিচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে। এতে স্বাস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।

বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল পারিবারিক দাওয়াতে অংশ নিতে নতুনবাজারে এসেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে আমার এই পথটুকু আসতে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগত। অথচ আজ মাত্র ২০ মিনিটে চলে এসেছি। চার দিন আগেও শুধুমাত্র মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনেই প্রায় ১৫ মিনিট যানজটে ছিলাম।

মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরা আসা যাত্রী সিয়াম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরার বাসগুলো পুরো ঢাকা ঘুরে আসে বলা যায়। সাইন্সল্যাব, কাঁটাবন, শাহবাগ, মৎস্যভবন, কাকরাইলসহ প্রায় প্রতিটি পয়েন্টেই জ্যামে পড়তে হয়। ফলে এই পথটুকু আসতে ঠিক কত সময় লাগবে তা বলা কঠিন। তবে আজ খুবই স্বস্তিতে এসেছি। সারা বছর এমন থাকলে এর থেকে স্বস্তির আর কিছুই হতো না।

তবে গণপরিবহনে ঈদ বকশিসের নামে বাড়তি অর্থ আদায়ের কথা জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঈদের অন্তত তিন দিন আগে থেকে শুরু হওয়া এই বকশিস চাওয়া এখনও বলবৎ রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেঃ ওবায়দুল কাদের

গণপরিবহণ কম থাকার সুযোগে ও ঈদ বকশিসের নামে রিক্সাচালকরাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

রায়হানুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, বাসে প্রত্যেক যাত্রীর থেকে দূরত্ব অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ টাকা ভাড়া বেশি আদায় করা হচ্ছে। পোস্তগোলা থেকে নতুনবাজারের ভাড়া ৩৫ টাকা, সেখানে আমার থেকে ৪০ টাকা রাখা হয়েছে। ৫ টাকা ঈদের বকশিস বলে জানিয়েছে হেলপার। এটা গত চারদিন ধরেই দিচ্ছি। আবার রিকশা ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। ২০ টাকার ভাড়া রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা, আর ৩০ টাকার ভাড়া ৪০।