আলিফ হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
আপনি যখনই রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে, সংখ্যাগরিষ্টটার নেপত্যে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি ঘটে যাওয়া অবিচল অন্যায়,অবিচারে সোচ্চার হবেন, প্রতিবাদ -প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন, ঠিক তখনই দরবেশ বৌঠাল বিশাল আয়োজন করে জানান দিবে আপনি একজন দেশদ্রোহী,সাম্রাজ্যবাদ, সামন্ততান্ত্রিক, অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক স্বাধীনতাবিরোধীর স্বপক্ষ!
যে দেশে প্রশ্নের জবাবে জেল জরিমানা গুনতে হয়,অত্যাচারিত হতে হয় সে দেশে চলে সংবিধানের নিয়ম খেলা! "২০১৪ এর, ১২-ই এপ্রিল থেকে জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে ২০৩ জন এখনও গুম রয়েছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, বাংলাদেশের সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়।এই আইনের কষাঘাতে কারনে অকারণে ছোট ছোট বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আরেক সাম্রাজ্যেবাদ।এই আইনের মূখ্য উদ্দেশ্যই ছিলো টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর সাথে সরকারের দ্বিপাক্ষিক/বহুপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত করা যাতে করে টেলিযোগাযোগের সকল তথ্য সরকার পক্ষের হাতে চলে যায় এবং সরকার সর্বেসর্বা দেশের সর্বস্তরের সাধারণ /সামরিক /বেসামরিক ব্যক্তিবর্গদের সকল ধরনের তথ্যসমূহ নিজেদের আয়ত্তে রাখতে পারে ।তার ফলস্বরূপ আমরা-'ব্যক্তিগত তথ্য ভাইরাল,বিপক্ষ রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের পারিবারিক এবং কূটনৈতিক তথ্য ভাইরাল' হওয়ার মতো বিষয়গুলোও আমাদের চোখের সামনে আসতে দেখেছি।
আরও পড়ুনঃ প্রথম ধাপে উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা শেষ হচ্ছে আজ
রাষ্ট্রপক্ষ সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে কোটিকোটি টাকা ভ্যাট,ট্যাক্স নিয়ে নামমাত্র সুবিধাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের আয়ত্তে রেখে একচ্যাটিয়া ব্যবসা সম্প্রসারণে সরাসরি সাহায্য করতাছে, একই সাথে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরের মতোই বিভিন্ন নিয়মকানুন ফাইদা করেও মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য পাইরেছি করে তা প্রদান করতাছে ক্ষোদ রাষ্ট্রপক্ষের নিকট যা গুরুতর অসাংবিধানিক এবং ঘূর মানবাধিকার বিরোধী। অথচ সংবিধান তখন নিশ্চুপ!
এ দেশ শুরুর দিক থেকেই ছিলো উপনিবেশ, ছিলো মৌলবাদের আস্তানা, শৃঙ্খলাবদ্ধ,পরাধীন আজও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। জুলুম নিপিড়ন/অত্যাচার /গুম/খুন /কারারুদ্ধ /গণহত্যা /নরহত্যা এ দেশের মা'বলি অতিসাধারণ বিষয়। এসবের বিচার নেই; ভবিষ্যতেও থাকবেনা।একটা বিষাক্ত প্রজন্ম এর মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
সুবিধা নেওয়ার সময় শুধু সংবিধান! এছাড়া তারা ভুলেই যায় সংবিধান বলতে কিছু আছে।