মো:রুবেল মিয়া, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল মির্জাপুরে গ্রাম পুলিশ ও ইউপি সদস্যের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই। থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা,গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ।
গত১৮সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল আনুমানিক সময় সন্ধ্যা ৬টার মির্জাপুরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি অভিযোগ করা হয়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে,মির্জাপুর উপজেলা আনাইতারা গ্রামে শ্রী সেতু দাসের ছোট ছেলে আকাশ দাস আনাইতারা ডিস্পেন্সারি মাঠে গেলে,পাশের গ্রামের শামীম,কবির সহ ৫থেকে ৭লোক আকাশের উপরে হামলা চালায়, এমন সময় আকাশের ডাক চিৎকারে শুনিয়া স্থানীয় লোকজন আকাশকে উদ্ধার করে,এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায় শামীম,নামের একজন আটক করেন জনতা।
পরবর্তী পর্যায়ে আকাশের বাবা সেতু দাস জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে তারা থানায় মামলা দায়ের করতে বলা হয়। সেতু দাস থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে,থানায় থেকে ডিউটি অফিসার আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইছামুদ্দিনকে ফোনে বলা হয় আসামিকে থানায় নিয়ে আসার জন্য,ইউপি সদস্য ইছামুদ্দিনগ্রাম পুলিশ জুলহাসকে সাথে নিয়ে একটি সিএনজি করে আসামি থানায় নিয়ে যাচ্ছিলো
মির্জাপুর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড সিএনজি গেলে প্রায় ৮-১০ জন লোক সিএনজির সামনে দাঁড়িয়ে সিএনজি আটকায় ও আসামি ছিনিয়ে নিতে চায়, গ্রাম পুলিশ জুলহাস ও ইউপি সদস্য ইছামুদ্দিন বাধা দিলে গ্রাম পুলিশ জুলহাস কে মারধর করে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়,এরপরে জুলহাস বাদী হয়ে একটি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চায় শিবিরের সভাপতি
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায় সেতু দাস শামীন এর পিতা মোঃ বাবুল এর নামে এক থেকে দেড় বছর আগে ১০৫ ধারায় একটি মামলা করেন,যাহার নাম্বার ২৫০/২৩,রুট এক্সিডেন্ট এর মামলা। মামলাটি এখন টাঙ্গাইল জজকোর্টে চলমান
কিন্তু সেতুর দাবি এটি হত্যা,বড় ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল,এখন আমার ছোট ছেলে আকাশ কে হত্যা করার জন্য এসেছিলেন।আগের মামলার আসামি বাবুল মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ও চাপ দিচ্ছেন
এদিকে বিবাদী শামীম মিয়াকে ফোন করিলে তাহার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।অভিযুক্ত বাবুল মিয়া ও মেয়ে জামাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমরা নির্দোষ আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে,জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমার শালাকে চক্রান্ত ভাবে মারধর করা হয়েছে,আমরা থানায় একটি মামলা করেছি, এ ব্যাপারে ডিউটি অফিসার এ এস আই তৌফিক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চলছে তদন্ত,তদন্ত শেষে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।