জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পৌরসভাধীন মুন্সিপাড়া গ্রামে জমি জমার জের নিয়ে বৈঠকের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়। আহতদের কে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১জনের অবস্থার মুমূর্ষ অবস্থা হওয়ার কারণে  তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় ভুক্তভোগীদের বৈঠকখানায় বৈঠকে বসে বৈঠক চলাকালীন সময়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

আহতারা হলেন মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩৫) পিতা শুকুর আলী, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (৫০) পিতা মৃত দিলবর রহমান, মোঃ সাজাদুর রহমান(৪০) পিতা মৃত আমেদ আলী, মোঃ শামসুল আলম (৪০) পিতা মোঃ মোজাম হোসেন । অপরপক্ষের আহতরা হলেন মোঃ সাইদুর রহমান (৪০) পিতা মৃত আবুল হোসেন মোঃ সাগর (২০) পিতা মোঃ সাইদুর রহমান।

ঘটনার বিবরনে জানা যায় দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন এর বিরোধ হয়ে আসছিল এরই এক পর্যায়ে গতকাল রাত্রে পৌরসভার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে নিয়ে মুন্সিপাড়া গ্রামে ভুক্তভোগীদের বৈঠকখানায় বৈঠকে বসে বৈঠক চলাকালীন সময়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায় মাহফুজার ও সাইদুরের পক্ষের লোকজন জাহিদুরের লোকজনের উপর চড়াও হয়ে ফালা দিয়ে আঘাত করে। এতে জাহিদুলের মামাশ্বশুর মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের হাতে ফালা বৃদ্ধ হয় এবং অন্যান্যরা বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে তাদের চড়াও হয়ে আক্রমণ চালায়।

আরও জানা যায়, এতে জাহিদুলের পক্ষে চারজন আহত হয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে ভর্তি হয় এবং প্রতিপক্ষের মাহফুজার ও সাইদুরের পক্ষের মোঃ সাইদুর রহমান ও মোহাম্মদ সাগর আহত হয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশি গুরুতর হওয়ার কারণে জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

আরও পড়ুনঃ বেরোবিতে সকালে উপাচার্য আসলেও আসেননি কর্মকর্তারা

পরবর্তীতে জানা যায়, মাহফুজার রহমানএর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

গতকাল রাতেই মোঃ মাহফুজুর রহমান নামে একজনকে এই ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করেন। পুলিশ তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান এবং গতকাল রাতে তথ্য পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।