spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলাপার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবেঃ সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবেঃ সুপ্রদীপ চাকমা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অবঃ) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যারা সহিংসতা সৃষ্টি করছে তারা দুস্কৃতিকারী। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে । এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে খবরাখবর নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ‘‘অর্থ সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশে’’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

এসময় দীঘিনালা উপজেলায় সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৬টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল ও নগদ ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫ শত টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া পুড়ে যাওয়া প্রতি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা ও ভাংচুর করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া উপদেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন।

সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, সরকারের কাছে অনেক অভিযোগ আছে । পাহাড়ে চাঁদাবাজি চলছে বলে জানা গেছে। যারা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মূল ধারার রাজনীতির বাইরে যেসব আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে সেসকল সংগঠনকে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ রামগঞ্জ বিরেন্দ্র খাল পরিস্কার পরিদর্শনে ডিডিএলজি রফিকুল ইসলাম

উপদেষ্টা বলেন, সাজেকে ঘুরতে এসে পর্যটকগণ আটকে যাচ্ছেন তা কারও জন্য সুখকর নয়। কেননা পর্যটকরা পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা না, তারা এখানকার অতিথি। এ ধরণের সহিংসতা বন্ধ না হলে পর্যটকরা বিকল্প চিন্তা করতে পারে। কাজেই আমাদের পর্যটকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পর্যটকরা যাতে পার্বত্য এলাকায় নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।