
মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের বিনিয়োগ বন্ধ করার দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নগরের অলোকার মোড়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
এই ইভেন্টটি বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের আসন্ন বার্ষিক সভার প্রাক্কালে একটি বৈশ্বিক প্রচারণার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়, যা টেকসই শক্তি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে উদ্দেশ্য করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি, ভূমি অধিকার আন্দোলনের নেতা আফজাল হোসেন, সাংবাদিক ইউসুফ আদনান এবং পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন।
বক্তারা বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অব্যাহত সমর্থনের সমালোচনা করেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট এবং সিদ্ধিরগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পগুলিতে এর সম্পৃক্ততা নিয়ে। তারা উল্লেখ করেন, এই বিনিয়োগগুলো প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার উদ্দেশ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুনঃ হিজলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন
রাজশাহীর এই প্রচারাভিযানে জলবায়ু কর্মী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা নবায়নযোগ্য শক্তির যথাযথ বিনিয়োগের অভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পুরো ইভেন্টজুড়ে সবুজ জ্বালানি ভবিষ্যতের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন ব্যানার প্রদর্শিত হয়।
বক্তারা আরো বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ কেবল কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে না, বরং স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের শক্তি নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়ক হবে। তারা সতর্ক করেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সংকটের মুখে দেশের পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
প্রচারাভিযানের শেষে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতি স্পষ্ট দাবি জানানো হয়—জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প থেকে অবিলম্বে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে সৌর, বায়ু এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির মতো টেকসই সমাধানে বিনিয়োগ করতে হবে। আয়োজকরা আশা করেন, এই প্রচারাভিযান বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেবে এবং তারা তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।