পাভেল ইসলাম মিমুল, স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মীম নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মীম (২৯) রাজশাহী রামচন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে। তিনি গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা রুবেলের আত্মীয় ও সহযোগী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মীমকে ফেলে রেখে চলে যান অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। পরে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ভর্তির নির্দেশ দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে,শনিবার রাতে প্রথমে নগরীর সাগরপাড়ার টিকাপাড়া এলাকায় মীমকে বেশ কয়েকজন মারধর করে। সেখান থেকে নগরী পঞ্চবটি এলাকায় আবারও আরেক দফা মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয় মীমকে। পরে তাকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম বলেন,এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে।
আরও পড়ুনঃ জনসেবার মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানায়,শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে নিহত মীমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে নিহত মীম যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তিনি আরও বলেন,
নিহতর মরদেহ হাসপাতালের ময়নাতদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,নিহত মীম নগরীর টিকাপাড়া ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় দুই দফা মারধরের শিকার হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।রাতভর অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। হত্যার প্রকৃত মোটিভ বের করতে কাজ করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছে।