spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

হৃদয় হাসান চৌধুরী, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ...
প্রচ্ছদসারা বাংলানেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষকের বাজার উদ্বোধন

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষকের বাজার উদ্বোধন

হৃদয় হাসান চৌধুরী, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: সবজি বাজারের সিন্ডিকেট ঠেকাতে কৃষকদের পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের স্বল্পমূল্যে সবজিসহ কৃষি পণ্য সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় করতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে কৃষকের বাজার।

মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের মেছুয়া বাজার এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম উদ্ধোধন করা হয়। 

স্থানীয় কৃষক, ভোক্তা, শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের নিয়ে কৃষকের বাজার উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ^াস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র, শেখ সাব্বির, রেদোয়ান প্রমুখ।

স্থানীয় কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের উৎপাদিত পন্য উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দাম একটু কম পেলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের কাছে বাকী বিক্রি করার চেয়ে নগদ বিক্রি করতে পেরে আমরা খুশি। 

ক্রেতা মো. সুরুজ খন্দকার বলেন, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন কে ধন্যবাদ দুর্গাপুরে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য। কৃষকের বাজার থেকে প্রতিটি লাউ ৪৫ টাকা, ১টি কচু ২৫ টাকা, কলমী ও লাল শাখ ১০ টাকা মুঠা, বেগুন ৫৫ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনতে পেরে আমরা খুশি।

আরও পড়ুনঃ বশেমুরবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগ 

উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ^াস বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ কৃষক জিম্মি হয়ে আছে। কৃষকদের কথা ভেবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আদাদের এই উদ্দ্যোগ। সকাল বিকাল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের স্বার্থে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। 

ইউএনও নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, এ ন্যায্য মূল্যের বাজারটা মূলত কৃষকের। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত পণ্য (সবজি) এ বাজারে নিয়ে আসছে এবং ক্রেতারাও সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করতে পারছেন। এখানো কোন তৃতীয় ব্যক্তি নেই। তাই কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে, ক্রেতারাও সঠিক দামে ক্রয় করতে পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা বাজারের জায়গাটা তৈরি করে দিয়েছি। আশা করছি সবজি বাজারে কোন সিন্ডিকেট থাকবে না।