spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ঘুষ কেলেঙ্কারি: বগুড়ায় এসআই তরিকুল ক্লোজড

মহিউছ ছাইয়েদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বগুড়া সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রদল নেতা...
প্রচ্ছদসারা বাংলাবগুড়ায় নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা

বগুড়ায় নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা

মহিউছ ছাইয়েদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় বাজারে উঠেছে আগাম জাতের নতুন আলু। তবে দাম আকাশচুম্বী, এই নতুন আলুর কেজি ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শনিবার (১৬ই নভেম্বর) সকালে বগুড়ার বৃহৎ পাইকারী রাজাবাজার ও ফতেহ্ আলী বাজারে আগাম জাতের নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাত্র ২০-৩০ কেজি আলু নিয়ে বাজারে বসেছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নতুন সবজির পাশাপাশি নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করেই নতুন আলুর দাম এত চড়া। আকাশচুম্বী দাম হলেও ক্রেতারা অল্প করে হলেও কিনেছেন। বিকেলের দিকে অবশ্য ২৪০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাংলা দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী, পহেলা অগ্রহায়ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব হিসেবে পালন করেন। নবান্ন উৎসব পালন করা হয় নতুন ধানের ভাত ও পায়েসের পাশাপাশি নতুন শাকসবজি দিয়ে। এখনো নতুন আলু বাজারে ওঠেনি। আরও ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। কিন্তু এরই মধ্যে নবান্ন উৎসব। তাই আগাম জাতের নতুন আলু বিক্রি করছেন দুই ব্যবসায়ী।

রাজাবাজারে নতুন আলু কিনতে আসা নয়ন চন্দ্র দাস বলেন, আগামীকাল রোববার আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করবেন। নবান্নে সবকিছুই নতুন লাগে। চাল নতুন, শাকসবজি—সবকিছুই নতুন। নতুন সবকিছু দিয়েই পালন করা হয় নবান্ন। বিক্রেতারা ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি করছেন। যেহেতু বাজারে নতুন আলু নেই, তাই এই দামে বাধ্য হয়েই কিনতে হয়েছে।

শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার রতন সরকার বলেন, নবান্ন উপলক্ষে নতুন সবজি লাগে। তাই ১৪০ টাকায় আধাকেজি আলু কিনেছেন। গত বছর অবশ্য ২৫০ গ্রাম আলু কিনেছিলেন ৮৫ টাকায়। এবার দাম কিছুটা কম। শহরের দক্ষিণ চেলোপাড়া আসা আরেক ক্রেতা মৌমিতা রাণী বলেন, ৩০০ টাকা কেজি আলু। তবে কয়েকদিন ধরেই নতুন আলু খুঁজছি। ৩০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কিনেছি।

আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল বসতঘর সহ মোটরসাইকেল

রাজা বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, মহাস্থান হাটে এক পাইকারের কাছ থেকে ২৫ কেজি নতুন আলু কিনেছি। নবান্নের সময় আলুর দাম বেশি থাকে। বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই দাম একটু বেশি।

ফতেহ্ আলী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে নতুন আলু উঠেছে, আকারে বড় না হলেও নবান্ন উৎসবের কারণে দাম ভালো পাওয়ার জন্য কৃষকরা বিক্রি করছেন। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, প্রতিবছরই নবান্ন উৎসবের সময় বাজারে নতুন আলু আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয়, সবাই নতুন আলু কিনে থাকে।