
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্বৈরাচারী খুনি ও গণহত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সহযোগী এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, গত জুলাই ও ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও পুরানা পল্টনে ছাত্রজনতাকে গুলি করে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
নুর ইসলাম নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুনি হাসিনার পাতানো নির্বাচনে অংশ নেয়। বর্তমানে সে নিজেকে সেনাপ্রধানের বেয়াই বলে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর নয়া পল্টনসহ দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, চ্যানেল ২৪, বিবিসি, ডিবিসি নিউজ, বৈশাখী টেলিভিশন, এটিএন বাংলাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকায় তার অপকর্মের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের নাম ব্যবহার করে এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর পুরানা পল্টনের দারুস সালাম ভবনে তার প্রতারণার আস্তানা পরিদর্শন করলে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি, সে পালিয়ে গেছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মমিনুর রশিদ শাহিন, মহাসচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ও সাংগঠনিক সচিব মো. রাসেল সরকার জানান, ৫ আগস্টের পর ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেলেও খুনি হাসিনার দোসররা এখনো আইনের আওতার বাইরে রয়েছে। তারা এখনো স্বৈরাচারী সরকারের দোসর হিসেবে ষড়যন্ত্র করে বর্তমান সরকারকে বিভ্রান্ত করছে এবং নতুন করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুনঃ আবু সাইদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর তিন দিনের রিমান্ডে
সংগঠনের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।