কে এম হাবিবুল্লাহ সাকিব,খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
ময়ূর ব্রিজ ও বয়রা সংলগ্ন রাস্তায় নেই কোনো রোডলাইট। রাস্তায় পড়ে থাকে বালি এবং কিছু রাস্তা পাকা হলেও বেশিরভাগই ভঙ্গুর অবস্থা। রাস্তার দুই ধারেই খাল ও বিল। যার ফলে বিপদজনক ও ছমছম পরিবেশ হয়ে পড়ে সন্ধ্যার পর পর, খুনলা শহরে এটি যেন ভূতুড়ে রাস্তা। ঘটেছে অনেক দূর্ঘটনা, ছিনতাই এবং চুরির মতো ঘটনা। কতৃপক্ষের এ বিষয়ে কোনো মাথাব্যাথাই নেই।
আব্দুল হাকিম সাহেবের জমি চাষ দেয়ার জন্য ট্রাক্টর এবং পাম্প রেখে দিতেন তার জমির পাশের। খাল থেকে পানি নিয়ে জমি চাষ করার জন্য জায়গাটি ছিলো অনবদ্য। তবে গত ১২ই ফেব্রুয়ারী রাতে দূর্বৃত্তরা ট্রাক্টর এবং পাম্প চুরি করে নেয় বলে জানান।
তিনি আরো জানান এতে তার লাখখানেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গত একমাসে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি। পাশে কন্সটাকশনের কাজ হওয়ায় প্রায়শই বালি পড়ে থাকে রাস্তায়। যেখানে স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। এদিকে এখানে বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে মটর সাইকেলের চাকা স্লিপ করে। এছাড়াও গর্ত থাকায় অটো-রিক্সার চলাচলেও বেশ অসুবিধা হয়।
রাতে রোডলাইট না থাকায় দুরের অনেক কিছুই দেখা যায় না। তবে কিছু রাস্তা পাকা হওয়ায় বেশি গতিতে চালায় চালকেরা। যার ফলে আচমকা ধাক্কা অথবা গতিরোধক এর বিযয়টি নজর এড়িয়ে যায় ফলে দূর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
এছাড়াও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন প্রায় এই রাস্তায় ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে। আরো জানা গেছে, ২০২৩ সালে এক লোকের কাছ থেকে মোবাইল এবং অর্থ ছিনতাই এর ঘটনা ঘটে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়(খুবি)-এর হলরোড পার হলেই ময়ূর ব্রিজ-বয়রা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে খুবির অনেক শিক্ষার্থী,কর্মকর্তা ও কর্মচারি। বিভিন্ন সময় কোনো কারনে রাতে ফিরতে হয় গন্তব্যে। রাস্তাটি বিপদজনক হলেও সময় বাঁচাতে সকলের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে এটি তাই বাধ্য হয়েই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে জানায় খুবির বেশ কিছু শিক্ষার্থীও।
এই রাস্তাটিতে রোডলাইট লাগালে হয়তো গাঁ ছমছামে ভাবটি দূর হতে পারে বলে জানান তারা। রাস্তাটি খুলনা শহরের অন্তর্ভুক্ত হয়েও এটি মূলত পড়েছে ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নে।
আরও পড়ুনঃ সাভারে চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৪ যুবক
এই ইউনিয়নের ইউ পি চেয়ারম্যান তুহিন জানান “আমরা কিছু পিলার লাগিয়েছি তবে এটা খুলনা শহরের অন্তর্ভুক্ত না হুওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা সেভাবে সরবরাহ করার সুযোগ হয়ে ওঠে নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি এবং ইতিপুর্বেই আরো কিছু পিলার এবং লাইট লাগানোর পরিকল্পনা আমাদের নেয়া হয়েছিলো।”