spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

মোঃ মুক্তাদির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখা ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৮...
প্রচ্ছদসারা বাংলাবগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় দুই আসামির যাবজ্জীবন

নাহিদ হাসান, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তারাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বগুড়ার জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন গাবতলীর আটবাড়িয়া গ্রামের তারাজুলের গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন এবং মো. মানিক।

রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলাম ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত হন। তিনি বগুড়া শহরের রহমান নগরে সপরিবারে বসবাস করতেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন।

২০১৬ সালের ৮ জুলাই ঈদ উপলক্ষে নিজ গ্রামের বাড়ি গাবতলীর আটবাড়িয়া গ্রামে যান। সেদিন রাতে শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তারাজুলের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু ১২ জুলাই গাবতলী মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে তার গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে। গ্রেপ্তারের পর হেলাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় কবর থেকে লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামি হেলাল উদ্দিন এবং মো. মানিককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

বগুড়া কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।”

এ মামলার রায় নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সন্তোষ বিরাজ করছে, তবে আসামিদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি চলছে।