spot_img

― Advertisement ―

spot_img

এইচএমপিভি ভাইরাস: কি, কাদের হয়, উপসর্গ ও বাঁচার উপায়

এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) হলো এক ধরনের শ্বাসতন্ত্রজনিত ভাইরাস যা মূলত শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের উপর প্রভাব ফেলে। প্রথমবারের মতো ২০০১...
প্রচ্ছদসারা বাংলাময়মনসিংহে কীটনাশক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ

ময়মনসিংহে কীটনাশক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ

ময়মনসিংহ নগরীর বিসিক শিল্পনগরীতে একটি কীটনাশক তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কারখানার গুদামে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দুপুর ১২টার দিকে। তবে এখনো আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব নির্ধারণ করা যায়নি।

সকাল ১০টার দিকে কারখানার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও সাতটি ইউনিট যোগ দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি পাশেই বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ কালো ধোঁয়া ও প্রচণ্ড বিকট শব্দে চমকে যান। কারখানার ভেতরে থাকা কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণের কারণে শব্দ হচ্ছিল। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত।

কারখানাটিতে কীটনাশক তৈরির কাঁচামাল সংরক্ষণ করা হতো এবং পাশের কারখানায় প্যাকেজিং করা হতো। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন জানান, গুদামে সংরক্ষিত কাঁচামাল বেশ ব্যয়বহুল এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। ভেতরে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলামের পরিবারের জন্য ফান্ড সংগ্রহের ঘোষণা

ফায়ার সার্ভিসের ময়মনসিংহ ইউনিটের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, পানির অভাবের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। তবে কেমিক্যাল এবং ফোম ব্যবহার করে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, দাহ্য পদার্থের স্বতঃস্ফূর্ত উত্তপ্ত হওয়ার কারণেই আগুন লাগতে পারে। তবে সঠিক কারণ জানতে তদন্ত করা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও সূত্রপাতের কারণ নির্ধারণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহে কাজ করছেন।