spot_img

― Advertisement ―

spot_img

চট্টগ্রামে থানার দোয়া মাহফিলে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি অতিথি, সর্বত্র সমালোচনার ঝড়

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত একটি দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া হত্যা মামলার দুই আসামির উপস্থিতি নিয়ে সর্বত্র...
প্রচ্ছদসারা বাংলাচট্টগ্রামে থানার দোয়া মাহফিলে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি অতিথি, সর্বত্র সমালোচনার ঝড়

চট্টগ্রামে থানার দোয়া মাহফিলে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি অতিথি, সর্বত্র সমালোচনার ঝড়

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত একটি দোয়া মাহফিলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া হত্যা মামলার দুই আসামির উপস্থিতি নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

গত ২০ ডিসেম্বর থানায় আয়োজিত খতমে কুরআন ও খতমে বুখারী শরীফের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র হত্যা মামলার ৯০ নম্বর আসামি হাফেজ তৈয়ব ও ৯১ নম্বর আসামি আজাহার উদ্দিন। তাদেরকে পুলিশের দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত দেখতে পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, হাফেজ তৈয়ব পরিবেশ অধিদপ্তরের একাধিক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে বায়েজিদ ও খুলশী থানায় একাধিক সিআর এবং জিআর মামলা রয়েছে। হত্যার ঘটনায় তার উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে।

ছবিতে দেখা গেছে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই দুই আসামি বক্তব্য রাখছেন। তাদের উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে হত্যা মামলার আসামিরা থানার এমন একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হতে পারেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম এ বিষয়ে জানান, তিনি থানায় সদ্য বদলি হয়ে এসেছেন এবং অনুষ্ঠানটি শান্তি ও মঙ্গল কামনায় আয়োজন করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, আসামিদের উপস্থিতি তার নজরে ছিল না। তিনি এই বিষয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

আরও পড়ুনঃ বগুড়ার কারাগারে অসুস্থ সাবেক এমপি রিপুকে ঢাকায় স্থানান্তর

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে, বিশেষ করে গত ১৫ বছরে হাফেজ তৈয়বের সরকারি দলের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। তাকে চট্টগ্রামের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, এবং সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রসহ আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

হৃদয় তরুয়া হত্যার ঘটনার আসামিদের নিয়ে থানার এই কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার মধ্যে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র অসন্তোষ এবং এর পেছনের দায় নির্ধারণের দাবি উঠেছে।