
গোকুল চন্দ্র রায়, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ীরা।
উপজেলায় দুটি খাদ্য গুদাম রয়েছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধান ২০৭৭ মে. টন এবং চাল ১৫৮২ মে. টন। তবে, সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারমূল্য অনেক বেশি হওয়ায় আভ্যন্তরিন আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হতে চলেছে।
ব্যবসায়ী ও মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তি করা সত্ত্বেও তারা চুক্তি অনুযায়ী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। সরকারিভাবে বীরগঞ্জ এবং কবিরাজহাট খাদ্য গুদামে গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে একসাথে ধান ও চাল সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং কার্যক্রম শুরু হয়, যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, মাহমুদুল হাসান এবং দিলিপ চন্দ্র রায়, জানান যে শতাধিক মিলার চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এখনো লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩০% অর্জিত হয়নি। অটোমেটিক রাইস মিলগুলো কিছু চাল সরবরাহ করলেও হাস্কিং মিলাররা সরবরাহ করছে না।
এছাড়া, একজন কৃষকও এক কেজি ধান বিক্রির জন্য গুদামে আসেননি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিলার মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ রহিমুল হক এবং মোঃ সিদ্দিক হোসেনের সাথে কথা হলে তারা জানান, চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪৭ টাকা নির্ধারিত হলেও, বাজারে ধানের মূল্য প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেশি। এ কারণে কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করছেন না।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে: মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে খরচ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হওয়ায়, তারা জানান, লোকসানের কারণে চাল সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ধান-চালের মূল্য পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ করেছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, চাল সংগ্রহের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে, তবে ধান সংগ্রহ মোটেই সম্ভব হচ্ছে না।