মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে। আ’লীগপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকলীগ নেতাদের বহাল থাকার পাশাপাশি, বিএনপি সংশ্লিষ্ট কিছু নেতার ছত্রছায়ায় চুক্তির নামে দুর্নীতির অভিযোগে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে এই সংস্থা।
সম্প্রতি ৪ কোটি টাকার একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে আ’লীগপন্থী ঠিকাদার হাইটেক প্রোপ্রাইটর নওফেলের সঙ্গে। অভিযোগ উঠেছে, আগের কাজগুলোর কোনো অগ্রগতি না থাকা সত্ত্বেও বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। একইসঙ্গে পশ্চিম রেলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক এবং ডিএনটু বীরবল মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির সম্পৃক্ততার দাবি উঠেছে।
পূর্বের ঠিকাদারদের কাজ অসম্পূর্ণ থাকার পরও বিল প্রদান এবং নতুন চুক্তি সম্পাদনের অভিযোগ ওঠে। বিএনপির কিছু বিতর্কিত নেতার মদদে এলটিএম পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, আ’লীগের আমলে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ঠিকাদাররা এখন বিএনপি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ পাচ্ছে।
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শ্রমিকলীগ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আন্দোলন দমন করতে কালো টাকায় পরিচালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিম রেলের সাবেক জিএম অসীম কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১৩ জন চীফ কর্মকর্তার নামও এ তালিকায় এসেছে।
আরও পড়ুনঃ ইবির ডিএসসি’র সভাপতি বুরহান, সম্পাদক আউন
বর্তমান জিএম মামুনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ চলমান। বিএনপি ও আ’লীগপন্থী কিছু প্রভাবশালী নেতার মদদে তাদের কর্মকাণ্ড বহাল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
পশ্চিম রেলওয়ের জিএম মামুনুল ইসলাম ও প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে ডিএনটু বীরবল মণ্ডল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পশ্চিম রেলওয়ের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের এই চিত্র নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়ে।
আপনার প্রদানকৃত তথ্যগুলো থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এটি আরও সংশোধন বা পরিবর্ধন প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন।